TechJano

মঙ্গলে যাবে নাসার হেলিকপ্টার

মঙ্গল গ্রহে ছোট একটি হেলিকপ্টার পাঠানোর পরিকল্পনা করছে নাসা। ২০২০ সালে লাল গ্রহটিতে পরবর্তী প্রজন্মের একটি রোভার বসানোর মিশনের একটি অংশ হিসেবে হেলিকপ্টারটি পাঠাবে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি। বলা হচ্ছে, ড্রোনের মতো মানুষবিহীন চপারের ক্ষুদ্র সংস্করণ এটি। মার্স-2020 রোভারের সঙ্গেই জুড়ে দেয়া হবে এ নভোযান। মঙ্গলে, বসবাসের উপযোগিতা, প্রাচীন প্রাণ আর প্রাকৃতিক সম্পদ খুজবে, দ্য মার্স হেলিকপ্টার। ২০২০ সালের জুলাইয়ের মধ্যে মঙ্গলে উড়াল দেবে এটি।

নাসা জানিয়েছে, তাদের ‘মার্স রোভার’-এর সদস্য হবে এ হেলিকপ্টার। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘মার্স হেলিকপ্টার’। ওজন এক কেজি ৮০০ গ্রাম। নাসার এক দল বিজ্ঞানীর চার বছরের শ্রমে তৈরি হয়েছে নতুন এ মঙ্গল যানটি। আপাতত ২০২০ সালে এটি মঙ্গলে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে নাসা। বিবিসির খবরে বলা হয়, হেলিকপ্টারটি মঙ্গলে যেন উড়তে পারে, সেভাবেই বানানো হয়েছে। কারণ, মঙ্গল গ্রহের ঘনত্ব পৃথিবীর ঘনত্বের প্রায় ১০০ ভাগের এক ভাগ।

নাসা বলছে, হেলিকপ্টারটি ‘এয়ার এয়ারক্রাফট’-এর চেয়ে ভারী। কারণ, ‘এয়ার এয়ারক্রাফট’ বলতে সাধারণত বেলুন ও ‘অ্যারোস্ট্যাট’ বোঝানো হয়। ভেনাসের বায়ুমণ্ডলে এর আগে দুটি বেলুন পাঠানো হলেও হেলিকপ্টারের মতো কোনো যান আজ পর্যন্ত ভিনগ্রহে পাঠানো হয়নি।নাসার এ হেলিকপ্টারে দুটি পাখা আছে। এগুলো মিনিটে তিন হাজার বার ঘুরতে সক্ষম। পৃথিবীতে যেসব হেলিকপ্টার আছে, সেগুলোর পাখা সাধারণত মিনিটে ৩০০ বার ঘুরতে পারে।নাসার প্রশাসক জিম ব্রিডেনস্টাইন বলেন, ‘ভিনগ্রহে হেলিকপ্টার পাঠানোর অভিযান অনেক রোমাঞ্চকর। মঙ্গল নিয়ে আমাদের গবেষণায় এ অভিযান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি আরও জানায় হেলিকপ্টারটির উড্ডয়ন পরীক্ষার জন্য ৩০ দিনের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে পাঁচবারের মতো আকাশে উড়বে হেলিকপ্টারটি। প্রথম পর্যায়ে খাড়াভাবে উপরে উঠে ১০ ফুট উচ্চতায় প্রায় ৩০ সেকেন্ড ভেসে বেড়াবে হেলিকপ্টারটি। ধীরে ধীরে উড্ডয়নের সময় ৯০ সেকেন্ডে নিয়ে একশ’ গজ পাড়ি দেওয়ানো হবে।  হেলিকপ্টারটির লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি চার্জ দিতে এতে সৌর কোষ রাখা হয়েছে। হিমশীতল রাতে হেলিকপ্টারটি গরম রাখতে এতে একটি উষ্ণতা ব্যবস্থাও রয়েছে।

সূত্র : বিবিসি।

Exit mobile version