মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর ‘কিশোর-কিশোরী ক্লাব স্থাপন’ প্রকল্পের অধীন তিনটি পদে মোট ১০ হাজার ৮৬১ জন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে দৈনিক ভিত্তিক প্রকল্পের মেয়াদকালীন জেন্ডার প্রোমোটর পদে ১ হাজার ৯৫ জন, সংগীত শিক্ষক ৪ হাজার ৮৩৩ জন (প্রতি ইউনিয়নে একজন) ও আবৃত্তি শিক্ষক পদে ৪ হাজার ৮৩৩ (প্রতি ইউনিয়নে ১ জন) নিয়োগ দেওয়া হবে।
জেন্ডার প্রোমোটর পদে আবেদনের জন্য আবেদনকারীকে এইচএসসি পাস ও কম্পিউটার (মাইক্রোসফট অফিস) চালনায় দক্ষতা ও সংশ্লিষ্ট কাজে দুই বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। নারী প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এবং প্রার্থীকে বাইসাইকেল চালনায় পারদর্শী হতে হবে। সংগীত শিক্ষক পদে আবেদনের জন্য অবেদনকারীকে এসএসসি পাস হতে হবে। এ ছাড়া সংগীত বিষয়ে ডিপ্লোমা/শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ সনদ/রেডিও-টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত শিল্পী/সংগীত শিক্ষক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত কোনো একাডেমিতে কর্মরত থাকার প্রমাণপত্র থাকতে হবে। নারী প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। আবৃত্তি শিক্ষক পদে আবেদনের জন্য অবেদনকারীকে এসএসসি পাস হতে হবে। এ ছাড়া আবৃত্তি বিষয়ে ডিপ্লোমা/শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ সনদ/রেডিও-টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত শিল্পী/আবৃত্তি শিক্ষক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত কোনো একাডেমিতে কর্মরত থাকার প্রমাণপত্র থাকতে হবে। নারী প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
সব পদে আবেদনের জন্যই আবেদনকারীদের ২৩ আগস্ট ২০১৯ তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিতভাবে আবেদন করতে হবে। সব পদে নিয়োগের জন্য প্রার্থীকে সংশ্লিষ্ট উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। যদি কোনো কারণে সংশ্লিষ্ট উপজেলার যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না যায়, সে ক্ষেত্রে পাশের উপজেলা থেকে নিয়োগ দেওয়া হবে। সরকার নির্ধারিত কোটায় (শহীদ মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযোদ্ধা/মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের সন্তান/এতিমখানা নিবাসী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী, উপজাতি, আনসার ও ভিডিপি) প্রার্থীদের ক্ষেত্রে কোটা-সংক্রান্ত বিষয়ে সর্বশেষ সরকারি সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য হবে। ১ আগস্ট ২০১৯ তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পদের প্রার্থীদের বয়স অনূর্ধ্ব ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পুত্র বা কন্যা, পুত্র-কন্যার পুত্র-কন্যা, প্রতিবন্ধী ও অন্যান্য প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বয়সের সর্বোচ্চ সীমা ৩২ বছর। আবেদনপত্রের খামের ওপর ডান পাশে প্রার্থীর নাম, নিজ উপজেলা,জেলার নাম উল্লেখ করতে হবে। বিশেষ কোটায় আবেদনকারীকে খামের ওপর কোটার নাম উল্লেখ করতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে প্রার্থীর সম্প্রতি তোলা তিন কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি সংযুক্ত করতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতার সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্মনিবন্ধন, নাগরিকত্ব সনদ জমা দিতে হবে। সব সনদ প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার সত্যায়িত হতে হবে।
জেন্ডর প্রোমোটর পদে চূড়ান্তভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রার্থীদের দৈনিক ভিত্তিতে এক হাজার টাকা (সপ্তাহে দুই দিন) প্রদান করা হবে। সংগীত ও আবৃত্তি শিক্ষক পদে চূড়ান্তভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রার্থীদের দৈনিক ভিত্তিতে ৫০০ টাকা (সপ্তাহে এক দিন) প্রদান করা হবে।