ব্যবসা

মালয়েশিয়ার পেনাং রাজ্যের গভর্নর এবং বাণিজ্য, শিল্প এবং উদ্যোক্তা উন্নয়ন মন্ত্রীর সাথে পৃথক বৈঠক বিএমসিসিআই প্রতিনিধিদলের

By Baadshah

October 02, 2022

মালয়েশিয়ার পেনাং প্রদেশ প্রধান মাননীয় গভর্নর (প্রদেশ প্রধান) তুয়ান ইয়াং তেরুতামা তুন দাতো’ সেরি উতামা আহমেদ ফুজি আবদুল রাজাক ও মালয়েশিয়ার পেনাং রাজ্যের বাণিজ্য, শিল্প এবং উদ্যোক্তা উন্নয়ন মন্ত্রী এবং পেনাং রাজ্য আইনসভার প্রাক্তন স্পিকার দাতো হাজী আব্দুল হালিম বিন হাজি হুসেনের সাথে পৃথক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র প্রতিনিধিদল৷ ফার্মাসিউটিক্যাল, কৃষি, প্লাস্টিক এবং চামড়ার মতো অন্যান্য খাতে সহযোগিতার মধ্যে কীভাবে বাংলাদেশি প্রশিক্ষিত প্রকৌশলীরা পেনাংয়ের হাই-টেক শিল্পের পরিপূরক হতে পারে সে বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। সাড়ে তিন শতাধিক বহুজাতিক কোম্পানি পেনাং-এ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে, যার মধ্যে ইন্টেল, মটোরোলা, এএমডি ইত্যাদি মাইক্রোচিপ তৈরি করছে।

বৈঠকে পেনাং রাজ্যের মাননীয় গভর্নর (প্রদেশ প্রধান) তুয়ান ইয়াং তেরুতামা তুন দাতো’ সেরি উতামা আহমেদ ফুজি আবদুল রাজাক বাংলাদেশের সামগ্রিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ পরিস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও জোরদার হবে। তিনি ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য শোকেস বাংলাদেশ দুই দেশের বিভিন্ন ব্যবসা সম্প্রসারণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে আশা প্রকাশ করেন।

মালয়েশিয়ার পেনাং রাজ্যের বাণিজ্য, শিল্প এবং উদ্যোক্তা উন্নয়ন মন্ত্রী এবং পেনাং রাজ্য আইনসভার প্রাক্তন স্পিকার দাতো হাজী আব্দুল হালিম বিন হাজি হুসেন পেনাং এবং বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের বিকাশে অত্যন্ত উৎসাহী এবং আগ্রহী ছিলেন। পেনাং বিশ্বব্যাপী ব্যাক-এন্ড সেমিকন্ডাক্টর আউটপুটের প্রায় ৮% তৈরিতে অবদান রাখে, এটি মাইক্রোইলেক্ট্রনিক্স অ্যাসেম্বলিং, প্যাকেজিং এবং টেস্টিং-এর জন্য শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে।

বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি ও এফবিসিসিআই পরিচালক জনাব সৈয়দ আলমাস কবীর বাংলাদেশী প্রশিক্ষিত প্রকৌশলীদের দ্বারা ভিএলএসআই ডিজাইন এবং প্রি-এন্ড পোস্ট-ফেব্রিকেশন পরিষেবার প্রস্তাব করেন। বাংলাদেশের হাই-টেক পার্কে প্ল্যান্ট স্থাপন এবং মালয়েশিয়া এবং উত্তর-পূর্ব ভারতীয় রাজ্যে রপ্তানি করতে ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক নির্মাতাদের উৎসাহ দেন তিনি। তিনি দুই দেশের স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের জন্য নেটওয়ার্কিং-এর সুযোগ সম্প্রসারিত করার প্রস্তাবনা দেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি মালয়েশিয়া, চাইনিজ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও মালে চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নেতাদের সঙ্গেও বিএমসিসিআইয়ের প্রতিনিধিদল বৈঠক করেন।

বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার সর্বদা মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির চেষ্টা করে যাচ্ছে যা তাদের পারস্পারিক বাণিজ্য সম্পর্ক প্রসারিত করতে সহায়তা করবে।