টেলিকম

মিল্ক ভিটার ডিজিটালাইজেশন যাত্রায় সহায়তা করবে গ্রামীণফোন

By Baadshah

February 07, 2021

ডিজিটাইজেশনের নতুন যুগে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ। আর এ পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নেয়ার মাধ্যমে পার্টনার ও গ্রাহকদের প্রয়োজনীত সেবাদান করতে দেশজুড়ে থাকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে, যা ডিজিটাল বাংলাদেশের সম্ভাবনা উন্মোচনে সহায়তা করবে। আর এ যাত্রা সফল করতে সম্প্রতি মিল্ক ভিটা’র (বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিঃ) সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে গ্রামীণফোন।

চুক্তির আওতায় গ্রামীণফোন মিল্ক ভিটার এমপ্লয়ী ও ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেমের জন্য বিশেষ মূল্যে মোবাইল সল্যুশান প্রদান করবে। ভবিষ্যতে গ্রামীণফোন মিল্কভিটার কৃষকদের জন্য ডিজিটাল লাইভস্টক সল্যুশান নিয়ে আসবে যা কৃষকদের দৈনন্দিন কাজ আরও সহজ করে তুলতে সহায়তা করবে।

মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন, ডেপুটি সেক্রেটারি এবং জেনারেল ম্যানেজার মিল্ক ভিটা এবং নুরুল ফেরদউস মুসান্না, হেড অব স্ট্রাটেজি এবং গভ: একাউন্টস, গ্রামীফোন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে গত বৃহস্পতিবার তেজগাওঁয়ে মিল্ক ভিটার প্রধান কার্যলয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

মিল্ক ভিটার চেয়ারম্যান শেখ নাদির হোসেন লিপু, জয়েন্ট সেক্রেটারি ও ম্যানেজিং ডাইরেক্টর অমর চান বণিক; গ্রামীণফোনের চিফ বিজনেস অফিসার কাজী মাহবুব হাসান, স্ট্রাটেজিক একাউন্ট ম্যানেজার এসএম জাহিদ আল মামুন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে মিল্ক ভিটার চেয়ারম্যান শেখ নাদির হোসেন লিপু বলেন, ” আমাদের প্রযুক্তিসেবার পার্টনার হিসাবে গ্রামীণফোনকে পেয়ে আমরা আনন্দিত। আমরা বিশ্বাস করি মিল্ক ভিটা সর্বোচ্চ মোবাইল সেবা পাবে এবং ভবিষ্যতে মিল্ক ভিটার কৃষকদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গ্রামীণফোন নতুন ডিজিটাল সল্যুশান নিয়ে আসবে। আমরা গ্রামীণফোনের কাছ থেকে ভবিষৎতে আরও উদ্ভাবনি সেবা প্রত্যাশা করছি যা ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমানে সহায়তা করবে।”

গ্রামীণফোনের চিফ বিজনেস অফিসার কাজী মাহবুব হাসান বলেন, “গ্রাহকদের প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে গ্রামীণফোন সব সময় প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী পণ্য নিয়ে আসে। এই চুক্তিটি লাইভস্টক সেক্টরকে ডিজিটালাইজেশানের মাধ্যমে সত্যিকারভাবে সামাজিক ক্ষমতায়নের একটি উদাহরণ। ডিজিটাল বাংলাদেশের কানেক্টভিটি পার্টনার হিসাবে দেশব্যাপী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মবিলিটি ও আইসিটি সল্যুশান প্রদানে গ্রামীণফোন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা দেশের প্রযুক্তিগত কাঠামো উন্নয়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং আশা করছি এই চুক্তিটি দেশের প্রবৃদ্ধি উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।