Roundtable on STEM

ইভেন্ট

মেয়েদের নিয়ে যা বললেন মোস্তাফা জব্বার

By Baadshah

January 11, 2018

মেয়েরা বিজ্ঞান প্রযুক্তিতে আর পিছিয়ে নেই। ছেলেেদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সব ক্ষেত্রে এগিয়ে চলেছে। মেয়েদের নিয়ে এমন অনুপ্রেরণার কথা বললেন নতুন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন) এবং মাসিক কম্পিউটার ম্যাগাজিন সি-নিউজ এর যৌথ উদ্যোগে গত ১০ জানুয়ারি, ২০১৮ (বুধবার) কাওরান বাজারস্থ জনতা টাওয়ার সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের সভা কক্ষে বাংলাদেশে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিতে মেয়েদের সংখ্যা বৃদ্ধি বিষয়ে একটি গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করা হয়। আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

প্রধান অতিথি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার তাঁর বক্তব্যে বলেন, রাষ্ট্রের অর্ধেক অংশ নারীকে অবহেলিত রেখে আমরা বেশি দূর এগিয়ে যেতে পারবো না। তিনি বলেন, আমরা মেয়েদেরকে সবসময় পিছনে টেনে ধরে রাখার চেষ্টা করি। কিন্তু আমাদের উচিত ছেলে-মেয়ে সবাইকে সমানতালে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া। তিনি বলেন, ‘আজকের গোলটেবিল আলোচনা থেকে যেসব সুপারিশ উঠে আসবে, আমি ব্যক্তিগত ভাবে সেসব সুপারিশ নিয়ে কাজ করতে চাই। পলিসি লেভেলে কোন বাধা থাকলে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় আমরা এই সব বাধা দ্রুত দূর করে দিতে সম্ভব হবো বলে আমি সবাইকে আশ^স্ত করছি। একই সাথে আমি সবাইকে অনুরোধ করবো সবাই যার যার জায়গা থেকে মেয়েদের বিশ^াস ও আস্থা বাড়াতে অনুকুল পরিবেশ তৈরিতে কাজ করবেন’।

গোলটেবিল আলোচনার শুরুতে এ বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের মরগ্যান স্টেট ইউনিভার্সিটির সহকারি অধ্যাপক ড. সামিনা এম সাইফুদ্দিন। তিনি তার আলোচনায় বলেন, শুধু বাংলাদেশে নয় সারা বিশে^ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিতে মেয়েদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কম এবং দিন দিন এই সংখ্যা কমছে। বাংলাদেশের মেয়েদের উপর পরিচালিত গবেষনায় দেখা গেছে মেয়েদের স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা এখানে সীমিত তাই বেশিরভাগ সময়ই অভিভাবক, শিক্ষক এমনকি সহপাঠিদের নিরুৎসাহের কারণে মেয়েরা এই সব বিষয়গুলো থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। দেখা যায় কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া আমরা পরিবার থেকেই মেয়েদেরকে প্রযুক্তিগত বিষয়গুলোতে উৎসাহিত করি না। ছেলে ও মেয়েকে একইভাবে সমান সুযোগ দেয়ার চেষ্টা করি না। এই সব জায়গায় কাজ করতে পারলে এবং সামাজিক বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় বাধা দুর করে দিতে পারলে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিতে মেয়েদের সংখ্যা উল্লেখ্যযোগ্য হারে বাড়ানো সম্ভব বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বিডিওএসএন সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান এর সঞ্চালনায় গোলটেবিল আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাসিক সি-নিউজের সম্পাদক ও প্রকাশক রাশেদ কামাল, লিডস কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান শেখ আবদুল আজিজ, বাংলাদেশ ওমেন ইন টেকনোলজি (বিডাব্লিউআইটি) এর সভাপতি লুনা শামসুদ্দোহা, প্রগতি সিস্টেমস লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. শাহাদাত খান, ওরাকলের সাবেক সিনিয়র হার্ডওয়্যার প্রকৌশলী ড. ইফফাত কাজী, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের রোবটিক্স ও মেকাট্রনিক্স বিভাগের চেয়ারপারসন ড. লাফিফা জামাল, ডি-নেট এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম, সেন্ট্রাল ওম্যান ইউনিভার্সিটি এর কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শাহনাজ পারভিন, কাজী আইটি সেন্টার লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইক কাজি, নর্থ সাউথ ইউনির্ভাসিটি এসিএম-ডাব্লিউ এর সমন্বয়কারী তামান্না মোতাহার প্রমুখ।

উল্লেখ্য, দেশে আইসিটি শিক্ষাকে জনপ্রিয় করার জন্য ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসব্যাপী আয়োজনের অংশ হিসাবে এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়।