পাঠাও শুধু রাইড শেয়ারিং থাকছে না। ইতিমধ্যে খাবার ডেলিভারিসহ নানা সেবা দিচ্ছে। সে ধারাবাহিকতায় শিগগিরই আসবে মোবাইল পেমেন্ট অ্যাপ। পাঠাওয়ের একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, নতুন কিছুর সুযোগ খুঁজছে পাঠাও। তার মধ্যে ডিজিটাল পেমেন্ট ওয়ালেট তৈরির কাজ প্রায় শেষ। চলতি মাসেই এটি চালু হয়ে যেতে পারে। এ পেমেন্ট সেবা চালু হলে সহজেই বিভিন্ন বিল মেটানোসহ কেনাকাটা করার সুযোগ পাবেন পাঠাও গ্রাহক। পাঠাওয়ের বিল তো দিতে পারবেনই এর পাশাপাশি খাবারের বিল পরিশোধসহ বিভিন্ন লেনদেন করতে পারবেন। তবে এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত জানানো হয়নি।।
পাঠাও-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হুসেইন মো. ইলিয়াস সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, বিনিয়োগের টাকা ব্যবহার করে তারা আরও শহরগুলোতে রাইড শেয়ারিং, ফুড ডেলিভারি ও পাঠাও-পে অনলাইন পেমেন্ট সুবিধা চালু করবেন। পাঠাওতে সিরিজ-এ ফান্ডিং করার জন্য যে সকল আন্তর্জাতিক কোম্পানির কাছে পাঠাও আবেদন করেছিল তার মধ্যে রাইড শেয়ারিং জায়ান্ট গো-জেক অন্যতম।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পাঠাওতে সিরিজ-এ বিনিয়োগে এগিয়ে আসে গো-জেক। পরে নভেম্বর মাসেই গো-জেক পাঠাওতে বিনিয়োগ শুরু করে। তখন তারা ২০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করেছিল।তবে পাঠাও শুরু করার জন্য সিড মানি দিয়েছিল ব্যাটারি রোড ডিজিটাল হোল্ডিংস। ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে এই অর্থ দেয় তারা। তবে তখন কোম্পানিটি কত টাকা বিনিয়োগ করেছিল তা জানা যায়নি।সিরিজ-বি ফান্ডিং পর পাঠাও পরবর্তীতে শেয়ার বাজারে প্রবেশ করে কি না তা দেখার বিষয়-বলছেন বিশ্লেষকরা।কিছু করতে হবে এমন ভাবনা হতে ২০১৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে দুই বন্ধু হুসেইন মো. ইলিয়াস ও সিফাত আদনান ৩টি বাই সাইকেল নিয়ে নেমে পড়েন পণ্য ডেলিভারির কাজ করতে । কার্যক্রম শুরু হলো ‘পাঠাও’ নামে।
কিছুটা সফলতা পাওয়ার পর ডেলিভারির বাহনে আসে কয়েকটি মোটর সাইকেল। দুই বন্ধু চিন্তা করতে লাগলেন এই বাহন আরও কী কী কাজে লাগানো যায়। আর এমন ভাবনা হতেই ২০১৬ সালের শুরুর দিকে বাইকগুলোতে যাত্রী পরিবহন শুরু হয়। খুবই অল্প পরিসরে তখন ফোনে যাত্রীদের গন্তব্য জেনে আবার রাইডারদের জানিয়ে সেবাটি দেয়া হত । কিন্তু দিন দিন যাত্রী বাড়তে থাকায় পদ্ধতিটি খুব কঠিন হয়ে উঠছিল উদ্যোক্তাদের কাছে। এরপর তৈরি বানানো হলো অ্যাপ। ওই বছরের অক্টোবরে আনুষ্ঠানিক যাত্রা পাঠাওয়ের।