তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সমাজ কল্যানমূলক ডিজিটাল প্লাটফর্মে বিনিয়োগের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ যুক্তরাজ্য পার্লামেন্টের সদস্য, কনজারভেটিভ ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ (সিএফওবি) ও অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এপিপিজি) সভাপতি এ্যান মেইনের নেতৃত্বে ২৪-সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধিদলের মধ্যে যারা ব্যবসায়ী রয়েছেন তারা তথ্যপ্রযিুক্ত খাত বিশেষ করে সামাজিক প্রভাব রয়েছে এমন ডিজিটাল প্লাটফর্মে কাজ করার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
এর আগে আইসিটি বিভাগের সম্মেলন কক্ষে যুক্তরাজ্যের কনজারভেটিভ পার্টির সফররত নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিয় সভায় বৃটিশ প্রতিনিধিদলের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কনজারভেটিভ পার্টির ডেপুটি চেয়ারম্যান পল স্ক্যালি এমপি, এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি অব ১৯২২ কমিটির বব ব্লাকম্যান এমপিসহ প্রতিনিধি দলের অন্যান্য সদস্যগণ। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের পক্ষে হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেবসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আইসিটি বিভাগের পরামর্শক সামি আহমেদ ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং ১২টি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী প্রধানরা সমাজ কল্যানমূলক স্টার্ট আপের উপর পাওয়ার পয়েন্ট তুলে ধরেন।
পলক বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য বর্তমান সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে তা অবহিত করেন। এছাড়াও সরকারের বিগত দশ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রগতি, বিভিন্ন কার্যক্রমসহ প্রতিনিধিদলের কাছে তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কে কয়েকটি ব্রিটিশ কোম্পানী বিনিয়োগ করেছে এবং আগামীতে সিলেটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক, গাজীপুরের কালিয়াকৈর বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিসহ যে ২৮টি হাইটেক/আইটি পার্ক নির্মিত হচ্ছে তাতে বৃটিশ বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধি পাবে ।
পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের সামনে যে ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প তুলে ধরেন তার মধ্যে আইটি ইন্ডাস্ট্রি প্রমোশন অন্যতম। তিনি বলেন সরকার বৃটেনের মন্ত্রী, ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিগত দশ বছরে একাধিক বৈঠক করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে বৃটিশ বিনিয়োগ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ৬০টি দেশে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আইসিটি রপ্তানী এবং এ খাতে ১০ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান করেছে। আগামী ৪ বছরে আইসিটি রপ্তানী ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।