বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ বাড়াতে দেশটির উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে উচ্চপর্যায়ের সরকারি প্রতিনিধিদল। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি মঙ্গলবার ওয়াশিংটন ডিসিতে দুটি সেশনে আমেরিকান উদ্যোক্তাদের সঙ্গে এ বৈঠক করেন।
আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ, সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পশ্চিম) শাব্বির আহমদ চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শহীদুল ইসলাম প্রমুখ। বাংলাদেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাতসহ অন্যান্যরা। এদিকে বৈঠকে আমেরিকার কংগ্রেসম্যান স্টিভ ক্যাবট, সেনেটর চাক শ্যুমার-এর পাশাপাশি ইউএস চেম্বার অফ কমার্সের ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের সিদ্ধান্ত মেহরা, এসভিপির জেনারেল কাউন্সেল অ্যান্ড করপোরেট সেক্রেটারি ডেভিড রিংহোফার, আমেরিকান টাওয়ার করপোরেশনের সিনিয়র ডিরেক্টর সঞ্জয় আগারাওয়ালসহ যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। আলোচনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চিরবিকাশমান বন্ধুত্ব তৈরি করতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দেশে উপযুক্ত পরিবেশ আছে নিশ্চিত করে আমেরিকার উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ আরও বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখতে চাই, যুক্তরাষ্ট্র আইসিটি, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির মতো আরও অনেক খাতকে অন্তর্ভুক্ত করে বাংলাদেশে তার বিনিয়োগকে বৈচিত্র্যময় করবে। আমরা আশা করছি, যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব, দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ককে সহজতর করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম কার্যকর হবে।’ বৈঠকে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সম্পর্ক ধারাবাহিকভাবে শক্তিশালী হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত। তিনি বলেন- “বর্তমান সরকার বিনিয়োগ সহায়ক যে পরিবেশ নিশ্চিত করেছে, তার সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের সাথে খুবই গঠনমূলক এবং কার্যকরী একটি আলোচনা সম্পন্ন হল। আমেরিকার বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করছেন। যুক্তরাজ্যের পর বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশে এখন পর্যন্ত দেশটির বিনিয়োগ প্রায় এক বিলিয়ন ডলার। বিদ্যুৎকেন্দ্র, কয়লাখনি এবং সার প্রকল্পে বিনিয়োগের অপেক্ষায় আছে আরও প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ডলার।“