কোটা আন্দোলন বিষয়ে মতামত জানানো হবে বৃহস্পতিবার। কিন্তু তার আগেই জানা গেল, কোনো কোটা আর থাকছে না। কোটা সংস্কারের চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চাকরিতে কোটার দরকার নেই। কিন্তু ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হবে। বুধবার এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল ইস্যুতে বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে এমপি ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক কোটা ইস্যুতে প্রশ্ন উত্থাপন করেন। প্রশ্নোত্তরে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, কোটা নিয়ে যখন এতকিছু, তখন কোটাই থাকবে না। কোনো কোটারই দরকার নেই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্জিত শিক্ষা ব্যবহার হওয়ার কথা গঠনমূলক কাজে। কিন্তু এখন ব্যবহার হচ্ছে গুজব ছড়ানোর কাজে। সেদিন এক ছাত্রের মৃত্যুর গুজব ছড়ানো হলো, তখন ছাত্রীরাও হলের গেট ভেঙে বেরিয়ে আসে। সেদিন কোনো অঘটন ঘটলে তার দায়িত্ব কে নিতো? সবচেয়ে ন্যক্কারজনক ঘটনা হলো ভিসির বাড়িতে আক্রমণ। আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম করে এই দেশ স্বাধীন করেছি, এতদূর এনেছি। কিন্তু কখনো ভিসির বাড়িতে হামলা হতে পারে কেউ চিন্তাও করতে পারে না। সবকিছু ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হয়েছে। ভিসির ওপর আঘাত করতে চেয়েছে। একতলা-দোতলা সব তছনছ করে দিয়েছে। ক্যামেরা সরিয়ে নিয়ে গেছে। কতো পরিকল্পিত। এই হামলার নিন্দা জানাই, যারা এ হামলা করেছে, তারা ছাত্র বলে বিশ্বাস করি না। ৩৩ তম বিসিএস-এ ৭৭ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে সে তথ্য জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বুঝতেই পারছি না, কোটার সংস্কারতো সেই কবে থেকেই হয়েছে। তা না হলে বিসিএসগুলোয় মেধার ভিত্তিতে এত নিয়োগ হতো না। তিনি বলেন, যেখানে কোটায় পাওয়া যায় না, সেখানে মেধার তালিকা থেকে আসে, সে চর্চা আগে থেকেই চলছে। এ নিয়ে সমালোচনাকারীদের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, অনেক শিক্ষকও বিষয়টি জানেন না, তারা জানার চেষ্টাও করেন না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনগ্রসর যারা তারা যেন বঞ্চিত না হয়। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর যারা তারাও যেন বঞ্চিত না হয় সেটা নিশ্চিত করতে আমরা অন্য ব্যবস্থা নেবো।