চলমান করোনা পরিস্থিতিতে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধি-নিষেধের মধ্যেও জরুরি স্বাস্থ্যসেবা খাতকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে মাইসফট লিমিটেড। স্বাস্থ্যসেবাকে আরও বেশি সহজ করতে ও মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছাতে বিভিন্ন ধরনের হেলথকেয়ার সফটওয়্যার দিয়ে সহায়তা করে আসছে দেশের শীর্ষস্থানীয় সফটওয়্যার কোম্পানি মাইসফট লিমিটেড। মাইসফট লিমিটেডের তৈরি ল্যাবরেটরি ইনফরমেশন সিস্টেম (এলআইএস) এবং রেডিওলজি ইনফরমেশন সিস্টেম (আরআইএস) বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক মেশিনের সঙ্গে ইন্টিগ্রেশনের মাধ্যমে নির্ভুল এবং দ্রুত রোগ নির্ণয় নিশ্চিতকরণসহ ল্যাব পরীক্ষার আবেদন, নমুনা সংগ্রহ, দ্রুত ফলাফল এন্ট্রি, পেমেন্ট এর ওপর ভিত্তি করে রিপোর্ট প্রদান, রিএজেন্ট স্টক এর নোটিফিকেশন প্রাপ্তি ইত্যাদি কাজ সম্পাদন করে যাচ্ছে। মাইসফট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনজুরুল হক বলেন, স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সফটওয়্যার সেবা নিশ্চিত করতে প্রয়োজন সার্বক্ষণিক সাপোর্ট। সেই উদ্দেশ্যে করোনাকালীন এই কঠিন সময়েও দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে আমাদের কর্মীরা সশরীরে উপস্থিত থেকে এই সাপোর্ট নিশ্চিত করছেন যাতে করে হাসপাতাল এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো নির্বিঘ্নে নিরবচ্ছিন্নভাবে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যেতে পারে।
এই সম্পর্কে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হসপিটাল লিমিটেডের সিইও আল ইমরান চৌধুরি বলেন, বর্তমান সময়ে স্বাস্থ্যসেবাকে অনেকাংশে সহজতর করেছে সফটওয়্যারের ব্যবহার। তবে এই সফটওয়্যারের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে চাই সার্বক্ষণিক সাপোর্ট। আমরা আমাদের হাসপাতালে মাইসফট লিমিটেডের বেশ কিছু সফটওয়্যার ব্যবহার করছি যা কিনা আমাদের এই করোনাকালীন সময়ে চিকিৎসাসেবা প্রদানে সহায়ক হিসেবে কাজ করছে।
এছাড়াও এই বিষয়ে আলোক হেলথকেয়ার অ্যান্ড হসপিটাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লোকমান হোসেন বলেন, একটি হাসপাতাল যদি তার রোগীদের উন্নত মানের সেবা প্রদান করতে চায় তবে তাকে তথ্য-প্রযুক্তির সাহায্য নিতেই হবে আর করোনাকালীন সময়ে এই বিষয়টির তাৎপর্য আরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। মাইসফটের সফটওয়্যার ব্যবহারের ফলে আমরা আমাদের হাসপাতালে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে পেরেছি। আর যদি মাইসফট লিমিটেডের সাপোর্টের কথা বলতে হয় তবে বলবো যে করোনাকালীন এই কঠিন সময়ে আমার হাসপাতাল সার্বক্ষণিক তাঁদের সেবা পাচ্ছে।
মাইসফট লিমিটেড বিগত এক দশকে সারা দেশে প্রায় ২০০-টিরও বেশি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার অটোমেশনে সফলভাবে সফটওয়্যার সেবা দিয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি মহামারির শুরু থেকেই করোনা ভাইরাসের প্রভাব মোকাবেলায় স্বাস্থ্যসেবায় বিভিন্ন প্রযুক্তিগত টুলস ও সল্যুশন সহায়তা দিয়ে আসছে। স্বাস্থ্যসেবায় উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার এখন অবদি মহামারি মোকাবেলায় বড় ভূমিকা রেখেছে। করোনাকালীন সময়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দেশের ৯৬ শতাংশ মানুষ টেলিমেডিসিন এবং টেলিরেডিওলজি সেবার মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করে।