বাংলাদেশে স্টার্টআপ করে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। অনেক বড় লক্ষ্য নিয়ে এগোতে বাধা আসবেই। কিন্তু সফলতার উদাহরণ তো সামনেই আছে। চালডাল ডটকম। সারাদেশে একনামে সবাই চেনে। সে ভাবেই সবার জিয়া আশরাফকেও চেনেন। উদ্যোক্তাদের জন্য কাজ করার প্রত্যয়ে জিয়া আশরাফ বলছেন, সামনে সব উদ্যোক্তাদের জন্য শুভদিন আসছে। ধৈর্য্য ধরে ব্যবসায় লেগে থাকুন। ফান্ডিং নিয়ে ভাববেন না। বাংলাদেশে ই-কমার্স খাতে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এ খাতের মূল চালিকা শক্তি তরুণেরা। তাঁরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন নিজেকে, দেশকে। তৈরি হচ্ছে নতুন স্টার্টআপ। তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর সময় এসেছে। তাদের জন্য ফান্ডিংয়ের ব্যবস্থা করা কিংবা বিশ্বমঞ্চে নিজেদের তুলে ধরা জরুরি। এতে বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তি খাত আরও এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান চালডাল ডটকমের প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা।জিয়া আশরাফ মনে করেন, বাংলাদেশ থেকে বিশ্বমঞ্চে স্টার্টআপকে তুলে আনা সম্ভব। বাংলাদেশ থেকে তৈরি হবে পরবর্তী আলীবাবা, আমাজনের মতো বড় প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের তরুণ মেধাবীরা এগিয়ে নেবে তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে। জিয়া আশরাফ চালডাল ডটকমের প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা। পৃথিবী সেরা ৫০০ নতুন উদ্যোগের মধ্যে টপ টেন বা সেরা ১০ স্টার্টআপ নির্বাচন করে বিশ্বখ্যাত ম্যাগাজিন ফোর্বস। ওই ১০ এর মধ্যে চালডাল ছিল ৯ নম্বরে। ২০১৩ সালে শুরুর দিকে ই-কমার্স (গ্রোসারী শপ) সাইট ‘চালডাল ডট কম’ চালু হয়। বর্তমানে এটি দেশের অন্যতম গ্রোসারি সেবাদাতা। জিয়া আশরাফ মনে করেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ই-কমার্সের বিকাশমান সময় চলছে। এ সময়ে যদি সঠিক লক্ষ্য ও পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া যায়, তবে এটি দেশের উল্লেখযোগ্য বাণিজ্য খাত হিসেবে দাঁড়াবে। এ খাতসহ বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উদ্যোক্তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জগুলো নির্ধারণে ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। বেসিসের বিভিন্ন কমিটিতে থেকে উদ্যোক্তাদের জন্য নানা কাজ করেছেন জিয়া আশরাফ। তাঁর ভাষ্য, ই-কমার্সকে আস্তে আস্তে বড় শহর থেকে গ্রামে বিস্তার করতে কাজ করছে চালডাল। শিগগিরই সারাদেশে সবখানেই কাজ শুরু হবে। গ্রামের মানুষ অনলাইনে পণ্য ক্রয় ও সেবা গ্রহণ করা শুরু করলে আমাদের দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা রাতারাতি বদলে যাবে। চাল ডালের প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা বলেন, অত্যন্ত আনন্দের বিষয় এই যে, বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে, যার অন্যতম ভিত্তিই হচ্ছে ই-কমার্স। আর সে কারণেই ই-কমার্স খাতের উন্নয়নে সরকার এখন যথেষ্ট মনোযোগী হয়েছে। সরকার ই-কমার্সকে আলাদাভাবে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। এ খাতটি এখন মূলধারায়। বর্তমানে পৃথিবীর অনেক দেশেই ই-বাণিজ্যের কাজ খুব সফলভাবে চলছে। আমাদের দেশেও পিছিয়ে নেই। বর্তমানে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে অঙ্গীকার নিয়ে পথ চলতে শুরু করেছি তা বাস্তবায়নের জন্য ই-বাণিজ্য কার্যকরভাবে চালুর ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করা দরকার। একই সাথে এ প্রক্রিয়ার বাস্তবায়ন এদেশের মানুষকে বিশ্বায়িত দুনিয়ার শক্তিশালী অংশীদার হিসেবে গড়ে তুলবে। জিয়া আশরাফ বলেন, অনেকদিন ধরেই এ ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে আছি। সবাইকে কাছে থেকে দেখছি। এখন সময় তড়িত ব্যবস্থা নিয়ে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকা। আমার বিশ্বাস আমরা পারব। বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা উদাহরণ সৃষ্টি করবেই। আমাদের মেধা আর পরিশ্রম আমাদের সাফল্য এনে দেবে। জিয়া আশরাফ বলেন, ‘ই-কমার্সসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের উদ্যোক্তাদের ফান্ডিং বড় সমস্যা। আমার আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা ও ভিসি ফান্ডিংকে কাজে লাগাতে পারব। উদ্যোক্তাদের ফান্ডিং সমস্যা সমাধানহ বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে কাজ শুরু করেছি।