বাংলাদেশে শাওমি’র মোবাইল ফোনের ফ্যাক্টরি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হতে যাচ্ছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ফ্যাক্টরি উদ্বোধন করা হবে। আইসিটি বিভাগের সুত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে বনানীর শেরাটন হোটেলে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রম উদ্ধোন করার কথা রয়েছে।
যেখানে বিশেষ অতিথি হিসেবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলকেরও উপস্থিত থাকার কথা। মোবাইল ফোনের ফ্যাক্টরি চালুর পাশাপাশি এই অনুষ্ঠানে স্মার্টফোন ব্র্যান্ডটির নতুন পরিকল্পনা, অফার নিয়েও ঘোষণা আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জানা যায়, শাওমি বাংলাদেশ কোনো তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে নয়, সরাসরি নিজেরাই কারখানার কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এ জন্য তারা বাংলাদেশে বড় ধরনের এফডিআই (সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ) নিয়ে আসছে। গাজীপুরে কারখানা স্থাপন করবে।
বিটিআরসি হতে ’এ’ ক্যাটাগরির লাইসেন্স পেয়েছে শাওমি। শাওমি দেশে সেমি নক ডাউন (এসকেডি) বা হ্যান্ডসেটের যন্ত্রাংশ এনে সংযোজন করে স্মার্টফোন তৈরি করবে। গাজীপুরের ভোগড়ায় শাওমির এই কারখানা।দেশে এই প্রথম শতভাগ বিদেশী বিনিয়োগে স্মার্টফোন কারখানা হচ্ছে। বাংলাদেশে ডিবিজি টেকনোলজি লিমিটেড শাওমির এই কারখানা করেছে।শাওমির সঙ্গে উৎপাদন চুক্তি রয়েছে ডিবিজি টেকনোলজির। ভারতের হরিয়ানায় শাওমির জন্য একটি স্মার্টফোন কারখানাও করেছে ডিবিজি। ভিয়েতনামে ও চীনেও তারা কারখানা করেছে।
প্রসঙ্গত, দেশে দেশীয় মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদন শিল্প যাত্রা শুরু করে ২০১৭ সালে। সে সময় ওয়ালটন বাংলাদেশে তাদের ইলেকট্রনিক পণ্য উত্পাদন শুরু করে। এরপর বৈশ্বিক স্মার্টফোন সরবরাহকারী কোম্পানি দেশে স্যামসাং, সিম্ফনি, ওয়ালটন, ভিভো, অপো, রিয়েলমি, টেকনো, আইটেল, ইনফিনিক্স, ফাইভস্টার, নকিয়া ইত্যাদি ব্র্যান্ডের নিজস্ব কারখানা স্থাপনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে তাদের উত্পাদন কার্যক্রম শুরু করে। দেশীয় বাজারের ৮৫ শতাংশ এসব ব্র্যান্ড উৎপাদন করে থাকে এবং স্মার্টফোন ও ফিচার ফোনের দেশীয় চাহিদার ৫৫ শতাংশ পূরণ করতে পারে।