বিজয় নেটিজেনের উদ্যোগে ১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার রাজধানীর এলজিইডি ভবনের দ্বিতীয় তলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর’ শীর্ষক একটি সম্মেলন।সম্মেলনে দেশের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থাকে ডিজিটাল করার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর মোঃ মাহবুবুর রহমান।শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ দেলওয়ার হোসেন, বিকাশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কামাল কাদির, আমরা নেট্ওয়ার্ক লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ ফরহাদ আহমেদ।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নেটিজেন আইটি লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড সিসিপি মোহাম্মাদ আশিকুজ্জামান খান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, বর্তমান প্রশ্ন ফাঁসের সমস্যা ডিজিটাল উপায়ে সমাধান করা সম্ভব। শিশুদের এখন আর চক ডাস্টার টেবিল চেয়ারে পড়ানো যাবে না। তাদের কম্পিউটারের মাধ্যমে শেখাতে হবে। কারণ এখন আর শিশুরা স্কুলে আগ্রহ ধরে রাখতে পারে না। তারা ডিজিটালের ছোয়া পেয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে শিশুদের শিক্ষার জন্য সফটওয়্যার তৈরিতে কাজ করেছি। বর্তমানে সাতটি সফটওয়্যার তুলে দেওয়ার মতো অবস্থায় এসে পৗছেছি। শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর বাংলাদেশে বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে। ১৭৬০ সালের যে শিক্ষা ব্যবস্খা ছিল তা এখনো বিদ্যমান রয়েছে। এর পরিবর্তন না আনলে ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্খার অগ্রগতি সম্ভব নয়। এ পরিবর্তনের মাধ্যমে যে অনাকাঙিক্ষত প্রশ্নফাঁস হলে তা সমূলে উৎপাটনকরাসম্ভব।২০৪১সালকে লক্ষ্য রেখে শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে আমুল পরিবর্তন না আনলে এদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। অনুষ্ঠানে ‘শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর’ কাযক্রমের ওপরে মূল বক্তব্য উপস্থাপনা করেন নেটিজেন আইটি লিমিটেডর প্রধান নির্বাহী রায়হান নোবেল। রায়হান নোবেল বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হলে ডিজিটাল শিক্ষা সবার আগে এমন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে সারাদেশে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে বিজয় ও নেটিজেন কমিউনিটি পরিবার।প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় স্থানীয় পর্যায়ের আইসিটি প্রেমি তরুণ উদ্যোক্তা দেরকে নিয়ে গড়ে তুলেছে এক বিশাল কমিউনিটি পরিবার।যারা প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পরিপূর্ণ ডিজিটাল সেবার আওতায় নিয়ে আসতে বিরামহীন ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।এ প্রকল্পে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৩ হাজার কর্মী কাজ করছেন। মাত্র ২ বছরের মধ্যে ২৩০০ (দুইহাজার তিনশত)প্রতিষ্ঠানকে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনার আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে। অনুষ্ঠানে সারা দেশে বিকাশের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের ফিপ্রদান এর লক্ষে বিকাশ লিমিটেডের সঙ্গে নেটিজেন আইটি লিমিটেড এর চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।চুক্তিতে বিকাশের চিফ কমাশিয়াল অফিসার মিজানুর রশিদ ও নেটিজেন আইটির প্রধান নির্বাহী রায়হান নোবেল সাক্ষর করেন।উভয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।এরফলেমাধ্যমিকওউচ্চমাধ্যমিকস্তরেরশিক্ষার্থীওঅভিভাবকেরাবিকাশব্যবহারকরেফিপরিশোধকরতেপারবেন। অনুষ্ঠানে বিকাশ লিমিটেড এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকামালকাদিরবলেন,‘ শিক্ষার্থীরাযাতেবিকাশব্যবহারকরেসহজেঘরেবসেইটিউশনফিসদিতেপারেতারব্যবস্থাকরাহচ্ছে।নেটিজেনের এ উদ্যোগ কে স্বাগত জানাই। ডিজিটাল বাংলাদেশ করতে হলে ডিজিটাল শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। একাজে বিকাশ সব সময় নেটিজেন ও বিজয়ের পাশে থাকবে। শিক্ষার্থীদের ফিগুলো বিকাশ পেমেন্টে ঘরে বসে সহজে দেওয়া যাবে। আপনাদের সেবা দিতে আলাদা টিম থাকবে।নেটিজেনের এ উদ্যোগ কে স্বাগত জানাই। ডিজিটাল বাংলাদেশ করতে হলে ডিজিটাল শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। একাজে বিকাশ সব সময় নেটিজেন ও বিজয়ের পাশে থাকবে। শিক্ষার্থীদের ফিগুলো বিকাশ পেমেন্টে ঘরে বসে সহজে দেওয়া যাবে। আপনাদের সেবা দিতে আলাদা টিম থাকবে। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিজয় শিশু শিক্ষার অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপের হালনাগাদ সংস্করণ উন্মুক্ত করা হয়।এ প্রসঙ্গে বিজয় ডিজিটালের প্রধান নির্বাহী জেসমিন জুঁই বলেন, ‘‘শিশু শিক্ষার বিকাশে ডিজিটাল মাধ্যম হিসেবে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ বিজয় শিশু শিক্ষা চালু করা হল। ’’ অনুষ্ঠানে সারাদেশ থেকে বিজয় নেটিজেনের ৭০০ এর বেশি সহযোগী হাজির হন। নেটিজেন আইটি লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড সিসিপি মোহাম্মাদ আশিকুজ্জামান খান অনুষ্ঠানে সবাইকে ধন্যবাদ জানান এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তার ডিজিটাল শিক্ষাকে আরও সামনে এগিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।