স্যামসাং বাংলাদেশ তাদের জুনিয়র সফটওয়্যার একাডেমিতে আয়োজন করেছে দ্বিতীয় ব্যাচের আইটি প্রশিক্ষণ। প্রতিষ্ঠানটি তাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই প্রশিক্ষণ পরিচালনা করে। মূলত, প্রথম ব্যাচের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এবার দ্বিতীয় ব্যাচের কার্যক্রম শুরু হলো। শিক্ষার্থীরা স্যামসাংয়ের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আরঅ্যান্ডডি) ইনস্টিটিউট থেকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারবে।
জুনিয়র সফটওয়্যার একাডেমিতে আয়োজিত এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির মোট ৩০জন সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থী নির্বাচনে স্যামসাং বাংলাদেশকে সহায়তা করেছে এডুকো এবং এসওএস নামের দুটি স্বীকৃত অলাভজনক প্রতিষ্ঠান।
এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছ, শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তি জ্ঞান সহজতর করা যেনো তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ের ওপর তাদের আগ্রহ বৃদ্ধি পায়। অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা হাতে-কলমে কোডিং, প্রোগ্রামিং, মাইক্রোসফট অফিস, অ্যান্ড্রয়েড ওপেন সোর্স সিস্টেম, কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সংক্রান্ত প্রাথমিক শিক্ষাসহ অন্যান্য আরো অনেক প্রযুক্তিগত বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারবে।
এছাড়া স্যামসাংয়ের ইতিহাস, স্যামসাং পণ্য সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। সফটওয়্যার ডেভেলপ করতে বেসিক কোডিং ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারবে। উল্লেখ্য, প্রশিক্ষণ শেষে শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে।
স্যামসাং বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্যাংওয়ান ইয়ুন বলেন, “বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য দ্বিতীয়বারের মতো এই কর্মশালার আয়োজন করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এখান থেকে অর্জন করা জ্ঞান ভবিষ্যত শিক্ষাগ্রহণে শিক্ষার্থীদের সহায়তার পাশাপাশি তাদের মাঝে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী ধারণা নিয়ে কাজ করার ইচ্ছাশক্তি তৈরি করবে।”
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে টেক জায়ান্ট হিসেবে পরিচিতি পেতে সহায়তা করতে চাই এবং যার শুরু হবে শিশুদেরকে নিয়ে। আমরা বিশ্বাস করি, আজকের শিশুরাই ভবিষ্যতে দেশের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”