ইভেন্ট

শিশুদের প্রোগ্রামিং কর্মশালা

By Baadshah

March 24, 2018

“খেলার ছলে যে প্রোগ্রামিং শেখা যায়, সেটাই জানা হলো আজকে। এ তো সোজাই”। এ অভিমত লাইফ প্রিপারেটরি স্কুলের প্রথম শ্রেণীর পড়ুয়া ইফ্রান জাহানের। “আমরা যে প্রোগ্রামিং শিখতে পারবো বুঝতেই পারিনি। কিন্তু স্ক্রাচের এগুলো দেখে বুঝতে পারছি, খেলতে পারছি। আমার গেইম আর কার্টুন (স্ক্রাচের ভাষায় স্প্রাইট) দেখে ভাল লেগেছে। কারণ আমি ওগুলোকে নড়াচড়া করাতে পেরেছি”। জানিয়েছে সে। ইভ্রানের মতো ৩০ জন শিক্ষার্থী ২৩ মার্চ শুক্রবার সারাদিন মেতে ছিল প্রোগ্রামিং শেখার আনন্দে। বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন) শিশুদের জন্য প্রোগ্রামিং শেকার এই কর্মশালার আযোজন করে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের শেখানো হয় কীভাবে এমআইটি উদ্ভাবিত স্ক্র্যাচে নিজের মতো করে কার্টুন বা এনিমেশন বানানো হয়। তারপর তারা নিজেরাই প্রজেক্ট করে তা অভিভাবকদের সামনে উপস্থাপন করে। বিকালে হাইস্কুলের শিক্ষার্থীদের স্ক্র্যাচের পাশাপাশি সি-প্রোগ্রামিং ভাষাতেও ধারণা দেওযা হয়। এচাড়া তাদেরকে হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুতির পরামর্শও দেওয়া হয়। মতিঝিল মডেল স্কুল ও কলেজের দ্বিতিয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী জাহরান ও আহনাফ সুহিদ দ্বিতীয়বারের মতো স্ক্র্যাচ কর্মশালায় অংশ নিয়েছে। তাদের কাছে এটিকে মোটেই প্রোগ্রামিং মনে হয়নি। “এ তো কম্পিউটার গেমস” দুজনেই জানালো। কর্মশালায় শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি তাদের অভিভাবকদের জন্যও বিশেষ সেশনের ব্যবস্থা রাখা হয়। সেখানে খুদে প্রোগ্রামারদের কীভাবে গাইড করতে হবে তার ধারণা দেওয়া হয়। ফাতিমা নাইয়ার ইভা নামে এক অভিভাবাক জানান, বাচ্চাদের শেখানোর পাশাপাশি আমাদের অবহিত করার উদ্যোগটি প্রসংশনীয় কারণ আমার সন্তানের প্রোগ্রামিং-এ আগ্রহ থাকলেও আমি তাকে কীভাবে গাইড করবো তা নিয়ে আমার দ্বিধা ছিল। এখন আমি জানি তাকে কীভাবে সহায়তা করতে হবে। উপস্থিত অভিভাবকগণ দিনব্যাপী কর্মশালার পাশাপাশি খুদেদের জন্য “লম্বা সময়ের জন্য” প্রশিক্ষণের জন্য আয়োজকদের অনুরোধ করেন। কর্মশালা পরিচালনা করেন দ্বিমিক কম্পিউটিং স্কুলের প্রধান নির্বাহী ও লেখক তাহমিদ রাফি, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শাকিলা মেহজাবিন ও ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফারহানা শারমিন। বিডিওএসএনের একদল স্বেচ্ছাসেবক তাদের সহায়তা করেন। আয়োজনের সমন্বয়কারী শাকিলা মেহজাবিন জানালেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহায়তা পেলে অন্যান্য স্থানেও এই আয়োজন করতে তারা উৎসাহী।