করপোরেট

শীতে ওয়ালটনের প্রায় একশত মডেলের হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস

By Baadshah

October 25, 2018

শীতকে সামনে রেখে বাজারে প্রায় একশত মডেলের হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস এনেছে দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন। এর মধ্যে রয়েছে রুম হিটার, ওয়াটার হিটার বা গীজার, ইলেকট্রিক কেটলি, ইলেকট্রিক লাঞ্চ বক্স, ওভেন, ইন্ডাকশন কুকার, রাইস কুকার, ভ্যাকুয়াম ফ্লাস্ক, ওয়াশিং মেশিন, ক্লথ ড্রায়ার, হেয়ার ড্রায়ার, কফি মেকার ইত্যাদি।

জানা গেছে, এই শীতে হোম অ্যাপ্লায়েন্সেসের সিংহভাগ চাহিদা নিজেরাই পূরণের টার্গেট নিয়েছে ওয়ালটন। তাই, এবার আগেভাগেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে তারা। প্রায় একশত মডেলের বৈচিত্র্যময় ডিজাইন ও আকর্ষণীয় কালারের হোম অ্যাপ্লায়েন্সেসে সাজানো হয়েছে দেশীয় ব্র্যান্ডটির শোরুমগুলো।

বিক্রেতারা জানান, প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় উদ্ভাবন ঘটছে নিত্য নতুন ধরণের প্রযুক্তি পণ্য। আধুনিক ও কর্মব্যস্ত জীবনে গৃহস্থালীর প্রাত্যহিক কাজকে আরো সহজ ও আরামদায়ক করেছে এসব পণ্য। এদিকে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির সঙ্গে জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়ন, সাশ্রয়ী মূল্য এবং প্রযুক্তি পণ্যের সহজলভ্যতায় বাংলাদেশেও হোম অ্যাপ্লায়েন্সেসের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। ওয়ালটনের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম জানান, গত শীতে আশাতীত বিক্রি হয়েছিল ওয়ালটন হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস। সাশ্রয়ী মূল্য, উচ্চ গুণগত মান, দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবার নিশ্চয়তা এবং অসংখ্য বৈচিত্র্যময় ডিজাইন ও কালারের পণ্য ওয়ালটন হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস গ্রাহকপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে আসার মূল কারন।

ওয়ালটন হোম অ্যাপ্লায়েন্সেসের প্রোডাক্ট ম্যানেজার মাশরুর হাসান বলেন, এবারের শীত মৌসুমে হোম অ্যাপ্লায়েন্সেসের সিংহভাগ চাহিদা পূরণের টার্গেট নেয়া হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা পূরণে নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্ততি। সারা দেশে ওয়ালটন প্লাজা ও ডিস্ট্রিবিউটর আউটলেটগুলো সাজানো হয়েছে অসংখ্য হোম অ্যাপ্লায়েন্সেসেসে। পণ্য সম্ভারে যুক্ত করা হয়েছে নতুন নতুন মডেল। সকল শ্রেণী, পেশার ক্রেতাদের ক্রয় সক্ষমতার মধ্যে রাখা হয়েছে এসব পণ্যের দাম। মানের দিক থেকেও উন্নত। সার্বিক প্রস্তুতি বিবেচনায় তার প্রত্যাশা- এবারের শীতে হোম অ্যাপ্লায়েন্সেসের বিক্রিতে শীর্ষে থাকবে ওয়ালটন।

ওয়ালটন সূত্রমতে, এবারের শীতকে সামনে রেখে বাজারে ছাড়া হয়েছে ৯ মডেলের ওয়াশিং মেশিন; ৪ মডেলের রুম হিটার; ২২টি মডেলের রাইস কুকার; ১৬ মডেলের আয়রন মেশিন, ৩ মডেলের ইলেকট্রিক ওভেন ও ১০ মডেলের মাইক্রোওয়েব ওভেন, ৯ মডেলের ইলেকট্রিক কেটলি; ২ মডেলের ভ্যাকুয়াম ফ্লাস্ক; ৪ মডেলের ওয়াটার হিটার বা গীজার; ২ মডেলের হেয়ার ড্রায়ার ও স্ট্রেইটনার এবং ১টি করে মডেলের ইন্ডাকশন কুকার, ইলেকট্রিক লাঞ্চ বক্স, ইলেকট্রিক ট্রিমার ও কফি মেকার ইত্যাদি।

ওয়ালটন মাইক্রোওয়েব ওভেনের দাম পড়ছে ৯ হাজার টাকা থেকে ১৬ হাজার ৫’শ টাকা পর্যন্ত। ওয়াশিং মেশিন মিলছে ১০ হাজার টাকা থেকে ৪৫ হাজার টাকায়। রাইস কুকার পাওয়া যাচ্ছে ১৪’শ ৮০ টাকা থেকে ৭ হাজার ৫’শ টাকায়। গীজার পাওয়া যাচ্ছে ৩ হাজার ৯’শ টাকা থেকে ৯ হাজার ৯’শ টাকায়।

কর্তৃপক্ষ জানায়, স্থানীয় বাজারে গত বছরের শীতে নিজস্ব কারখানায় তৈরি উচ্চমানের ইন্ডাকশন কুকার ব্যাপক গ্রাহকপ্রিয়তা পেয়েছিল। এর প্রধান কারন- সাশ্রয়ী মূল্য ও কম বিদ্যুৎ খরচ। সিলিন্ডার গ্যাস দিয়ে সারা মাস রান্নায় যে টাকা খরচ হয়, তার অর্ধেকেরও কম খরচ হয় ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ইন্ডাকশন কুকার দিয়ে রান্নায়। খাবার সহজে গরম করার সুযোগ থাকায় গত শীতে ওয়ালটনের ইলেকট্রিক লাঞ্চ বক্স চাকুরিজীবীদের কাছে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। এবারও এই পণ্যটির ব্যাপক চাহিদা থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

দেশের ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল, হোম ও কিচেন এ্যাপ্লায়েন্স খাতে একমাত্র ওয়ালটনেরই রয়েছে আইএসও স্ট্যান্ডার্ড সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এর আওতায় সারা দেশে আড়াই হাজারের বেশি প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান গ্রাহকদের দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা পৌঁছে দিতে কাজ করছেন।