TechJano

শুভেচ্ছায় ভাসছেন মোস্তফা জব্বার

তথ্য প্রযুক্তি খাতের গর্ব বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার সরকারের মন্ত্রীসভার সদস্য হিসেবে যোগ দিয়েছেন। এ কারণে তাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন অনেকেই। নিজ জেলায় আওয়ামীলীগের কর্মীরা আনন্দ মিছিল করেছেন।

মন্ত্রী হওয়ায় অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

তাঁর এই অর্জনে বেসিস পরিবারের সবাই আনন্দিত ও গর্বিত। এক বিজ্ঞপ্তিতে বেসিস বলেছে, ইংরেজী বছরের শুরুতে এ অর্জন বেসিসসহ দেশের সকল তথ্য প্রযুক্তি সংগঠনের জন্য একটি অসামান্য উপহার সন্দেহ নেই। সরকারের মন্ত্রীসভায় নতুন সদস্য হিসেবে জনাব মোস্তাফা জব্বারের অন্তর্ভুক্তির এ মাহেন্দ্রক্ষণে বেসিস তথা তথ্য প্রযুক্তি শিল্পের পক্ষ থেকে ৩ জানুয়ারি বুধবার, বিকেল ৩টায় বেসিস অডিটোরিয়ামে তাঁর সম্মানে একটি সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে।

এর আগে ২ জানুয়ারি মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে মোস্তাফা জব্বার বিসিএস ও ই-ক্যাবরে অফেসে যান। সেখানে শুভেচ্ছা জানান নেতৃবৃন্দ।

২ জানুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বঙ্গভবনে শপথ পাঠ করার বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি মোস্তফা জব্বারকে। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

তিনি যেহেতু সংসদ সদস্য নন, তাই তাঁকে মন্ত্রিসভায় আনা হয়েছে টেকনোক্র্যাট হিসেবে।

৬৮ বছর বয়সী মোস্তফা জব্বারই প্রথম ১৯৮৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় বাংলা কীবোর্ড ও সফটওয়্যার প্রকাশ করেন। সেটি প্রথমে মেকিন্টোস কম্পিউটারের জন্য প্রণয়ন করলেও পরে ১৯৯৩ সালের ২৬ মার্চ উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের জন্য বিজয় বাংলা কীবোর্ড ও সফটওয়্যার প্রকাশ করেন।

১৯৪৯ সালের ১২ আগস্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানায় জন্ম নেওয়া এই প্রযুক্তিবিদ ১৯৭২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে স্নাতক পাস করেন। ছাত্রাজীবনে তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন এবং ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে মুজিব বাহিনীর খালিয়াজুরি থানারসহ অধিনায়ক ছিলেন।

১৯৭২ সালের ১৬ জানুয়ারি ছাত্র থাকাকালেই মোস্তাফা জব্বার সাংবাদিকতার মধ্য দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। সেই সময়ে তিনি সাপ্তাহিক গণকণ্ঠ পত্রিকায় রিপোর্টার হিসেবে কাজে যোগ দেন। ১৯৭৩ সালে তিনি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালে গণকণ্ঠ বন্ধ হয়ে যাবার পর তিনি ট্রাভেল এজেন্সি, মুদ্রণালয়, সংবাদপত্র ইত্যাদি ব্যবসায় যুক্ত হন।

Exit mobile version