জাতীয় স্বার্থে টেকসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনে তরুণদের সৃজনশীলতাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে শুরু হলো সিটিও ফোরাম ইনোভেশন হ্যাকাথনের তৃতীয় আসর।
রাজধানীর ক্যানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর স্থায়ী ক্যাম্পাসে শনিবার (২২ অক্টোবর) পর্দা ওঠে আইডিয়া রাউন্ড এর। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিটিও ফোরাম সভাপতি তপন কান্তি সরকার বাংলাদেশ গোল্ডেন ডিভিডেন্ট যুগে রয়েছে, মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, এই তরুণদের কে যদি সঠিক ভাবে কাজে লাগিয়ে তাদের এই সকল ইনোভেটিভ আইডিয়া কে সঠিক নার্সিং করা যায় তবেই হবে ডিজিটাল বাংলাদেশ।
তাই দেরি না করে নিজেদের আইডিয়া গুলোকে সামনে নিয়ে আসতে এবং তা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।
এসময় “ক্ষুধা মুক্ত বিশ্ব, সুস্বাস্থ্য, গুণগত শিক্ষা, ই-কমার্স, এমার্জিং টেকনোলোজি, ভার্চুয়াল এসিস্টেন্স, অনলাইন সার্টিফিকেট ভেরিফিকেশান” সহ এমন আরো মুক্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এই হ্যাকাথন থেকে সেরা উদ্যোগগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরা হবে বলে জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত হাইটেক পার্ক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডঃ বিকর্ণ কুমার ঘোষ শিক্ষার্থিদের জন্যে এই উদ্ভাবনী আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ডিজিটাল উন্নত বাংলাদেশ গঠনে কেবল মাত্র পাঠ্যপুস্তক ভিত্তিক জ্ঞান ধারন করলে হবে না, এর পাশাপাশি এসক আয়োজন উদ্ভাবনী চিন্তা ও চেতনাকে বিকশিত করবে।
আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছিলেন ক্যানাডিয়ান ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ এইচ এম জহিরুল হক। তিনি সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এই হ্যাকাথন কিভাবে অবদান রাখছে সে বিষয়ে আলোকপাত করে এবং শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে বলে ব্যক্ত করেছেন।
স্বাগত বক্তব্যে ক্যানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের কম্পিউটার এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডঃ সৈয়দ আক্তার হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থিদের যদি আমরা উদ্ভাবনী ও প্রকৃত সমস্যা সমাধানে কাজে না লাগাই তবে দেশ পিছিয়ে যাবে। তবে দেশে মেধাবী তরুনের সংখ্যা অনেক। তাই তাদেরকে যথাযথ সুযোগ দিতে হবে। আর এই হ্যাকাথন সেই সুযোগগুলো এবং আইডিয়া উদ্ভাবনে অন্যতম ভূমিকা পালন করছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের পরিচালক ডঃ দিপ নন্দী এবারের হ্যাকাথনটি মাইল ফলক হয়ে থাকবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। আর একই বিভাগের অধ্যাপক ডঃ কামরুদ্দিন নূর এই আয়োজনে তরুণদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে ডিজিটাল হাবে পরিনত করতে এই ইনোভেশন হ্যাকাথন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং তাদের এই প্রযুক্তি নির্ভর আইডিয়া বাংলাদেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে।
ইনোভেশন হ্যাকাথন ২০২২ এর টাইটেল স্পন্সর ফেয়ার টেকনোলজিসের হুন্দাই ব্র্যান্ড। আর হ্যাকাথনে সহযোগী হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগের দুইটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটি ও এস্প্যায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) এবং বেসিস।