প্রকৃতিতে গ্রীষ্মকাল তার আগমনী বার্তা জানান দিচ্ছে। গ্রীষ্মের খরতাপ পুরোদমে শুরু হতে না হতেই ইতোমধ্যেই গরমে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে মানুষের জনজীবন। এ পরিস্থিতিতে, হিমেল বাতাসে প্রাণ জুড়িয়ে নিতে কে না চায়। বাসার ভেতরে ঠাণ্ডা বাতাসের পরশ পেতে এয়ার কন্ডিশনারের জুড়ি মেলা ভার! পাশাপাশি, এয়ার কন্ডিশনার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। একটি উদাহরণ দিয়ে বিষয়টিকে তুলে ধরা যাক, যুক্তরাষ্ট্রে ৯০ ডিগ্রি ফারহেনাইটের (কিংবা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ওপরে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে ১৯৬০ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর ৬শ’ জন মানুষের মৃত্যু ঘটে। তবে, ২০০৪ সালে এয়ার কন্ডিশনারের ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে এ মৃত্যুর সংখ্যা ৮০ শতাংশ কমে যায়। এ পরিসংখ্যান থেকে আমরা বুঝতে পারি, এয়ার কন্ডিশনার মানুষের জীবন বাঁচাতেও সহায়ক ভূমিকা রাখে। একটি বিষয় বহুল প্রচলিত আছে যে, এয়ার কন্ডিশনার মানুষের চামড়া ও চোখকে শুষ্ক করে। সাধারণত, এয়ারকন্ডিশনার বাতাসে থাকা ময়েশ্চারকে কমিয়ে ফেলে বাতাসকে শুষ্ক করে ফেলে, তাই এটি মানুষের চামড়া ও চোখের ক্ষতি করে না। তবে, অনেকক্ষণ স্ক্রিন বা ডিসপ্লে’তে কোনো কিছু অনেকক্ষণ ধরে দেখলে এ ধরনের সমস্যা হতে পারে। যদি এয়ারকন্ডিশনারের তাপমাত্রা অনেক কমিয়ে রাখা হয়, তবে ঠাণ্ডা বাতাস পাওয়া যাবে এবং এটি মানুষের চামড়াকে শুষ্ক করে ফেলবে। কারণ, ঠাণ্ডা বাতাস পানিকে ঘনীভূত করে ফেলে। এয়ার কন্ডিশনার আমাদের শরীরে ক্লান্তি নিয়ে আসে এর কোন প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি; বরং দীর্ঘক্ষণ কাজের কারণে আমাদের শরীরে প্রায়ই ক্লান্তিকর অনুভূতি আসে। তবে, ঠাণ্ডা বাতাস থেকে হুট গরমে বের হলে আমাদের মাঝে এক ধরেনর অস্বস্তি চলে আসে। কিন্তু, এটি আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে না। গরমের কারণে আমাদের শরীর চরম পরিশ্রান্ত ও পানি শূন্যতার ভাব দেখা দেয়। এ পরিস্থিতিতে আমাদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসে এয়ারকন্ডিশনার। প্রায়শই আমাদের অনেকের মাঝে ঋতু পরিবর্তনের ফলে এলার্জি সমস্যা দেখা দেয়; তবে, এসি’র সঠিক পরিচর্যা ময়লা ও ধুলাকে দূর করে ব্যবহারকারীদের এ সসম্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। এ কারণেই এয়ার কন্ডিশনারের প্রয়োজনীয়তা ধীরে ধীরে বাড়ছে। এসি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এয়ারকন্ডিশনারে সবচেয়ে উদ্ভাবনী প্রযুক্তি নিয়ে আসছে। ক্রেতাদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে স্যামসাং কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস অসাধারণ ফাংশনের নতুন এয়ার কন্ডিশনার বাজারে নিয়ে এসেছে। আকার বা সাইজের ওপর ভিত্তি করে এই এয়ারকন্ডিশনারগুলো ৬৩,৯০০ থেকে ৮৯,৯০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে। নতুন এই এয়ার কন্ডিশনারগুলোতে রয়েছে ইজি ফিল্টার প্লাস, এ ফিচারটির মাধ্যমে এসি’র রক্ষণাবেক্ষণ হবে আরো সহজ। একজন ব্যবহারকারী খুব সহজেই ফিল্টার পরিবর্তনের মাধ্যমে এসিকে পরিষ্কার করতে পারবে; এ রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়টি ব্যবহারকারী খুব সহজেই করতে পারবেন। ফলে, রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ তার অর্থ ব্যয় করতে হবে না। এয়ার কন্ডিশনারগুলোর হাই ডেনসিটি ( এইচডি) অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ফিল্টার দূষিত উপাদানগুলো প্রতিহত করতে সাহায্য করে, যা এয়ারকন্ডিশনারের উন্নত পারফরমেন্সের বিষয়টি নিশ্চিত করে। এয়ার কন্ডিশনারগুলোতে রয়েছে পরিবেশবান্ধব R410a রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস রেফ্রিজারেন্ট, যা ওজোন স্তরের জন্য পরিবেশগতভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ। এটি অন্যান্য রেফ্রিজারেন্টের চেয়ে ভাল তাপ শোষণ করে এবং নিঃসরণ করে। আপনার কুলিং সিস্টেমে আপনি সর্বাধিক কর্মক্ষমতা পান তা নিশ্চিত করার সর্বোত্তম উপায় হল R410A রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহার করে এমন একটি এয়ার কন্ডিশনার ক্রয় করা। ডিজিটাল ইনভার্টার বুস্ট প্রযুক্তি প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা বজায় রাখবে, ফলে বিদ্যুৎ ব্যবহার হবে আরো সাশ্রয়ী। এয়ার কন্ডিশনারগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে স্যামসাংয়ের আউটলেট কিংবা ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে https://www.samsung.com/bd/। আপনি যদি বাসায় কিংবা অফিসে ব্যবহারের জন্য এয়ারকন্ডিশনার বেছে নিতে চান, তাহলে স্যামসাংয়ের আউটলেট থেকে কিনতে পারেন আপনার পছন্দের এসি। স্যামসাং টেলিভিশন ও রেফ্রিজারেটরের ক্ষেত্রে বৈশ্বিকভাবে এক নম্বর ব্র্যান্ড স্যামসাং ইলেক্ট্রনিকস। রূপান্তরমূলক ধারণা ও প্রযুক্তির মাধ্যমে স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স বিশ্বব্যাপী অনুপ্রেরণামূলক এবং অগ্রগতির কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটি টিভি, স্মার্টফোন, ওয়্যারেবল ডিভাইস, ট্যাবলেট, ক্যামেরা, ডিজিটাল অ্যাপ্লায়েন্স, মেডিকেল ইকুইপমেন্ট, নেটওয়ার্ক সিস্টেম, সেমিকন্ডাক্টর এবং এলইডি সল্যুশনের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী ভূমিকা রেখেছে। এ সংক্রান্ত প্রাসঙ্গিক খবরের জন্য অনুগ্রহ করে স্যামসাং নিউজরুম ভিজিট করুন: news.samsung.com