সঞ্চয়পত্র, সুদ, হার, সঞ্চয়, rtvonline

জনপ্রিয়

সঞ্চয়পত্র কিনতে এখন যা জানা জরুরি

By Baadshah

February 05, 2019

সঞ্চয়পত্র কেনার কথা ভাবছেন। এখন নিয়মে কিছু পরিবর্তন আসবে। প্রকৃত উপকারভোগীদের কাছে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করতে বিক্রয় কার্যক্রম অটোমেশনের আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রকৃত উপকারভোগীদের পাশাপাশি, সঞ্চয়পত্রে কালো টাকা এবং অতিরিক্ত বিনিয়োগ বন্ধ করতে সরকার অটোমেশন পদ্ধতিতে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে।

অটোমেশনে সঞ্চয়পত্র কিনতে গ্রাহকের জাতীয় পরিচয়পত্র ও ই-টিন সার্টিফিকেট দিতে হবে। ৫০ হাজার টাকার বেশি অর্থের সঞ্চয়পত্রের টাকা পরিশোধ করতে হবে ব্যাংকের চেকের মাধ্যমে।

প্রাথমিকভাবে অটোমেশন (অনলাইন) পদ্ধতিতে সঞ্চয়পত্র বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল শাখায়, সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখা, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের ব্যুরো অফিস (গুলিস্তান) এবং বাংলাদেশ পোস্ট অফিসের প্রধান কার্যালয়। পরীক্ষামূলকভাবে তিন মাস চলার পর অটোমেশনপ্রক্রিয়া সারা দেশে বিভাগীয়, জেলা শহরের কার্যালয়ে শুরু হবে।

২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম দিন অর্থাৎ ১ জুলাই থেকে দেশব্যাপী এটি শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এ জন্য ‘ন্যাশনাল সেভিং সার্টিফিকেটস অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ নামে সঞ্চয়পত্রের অনলাইন ডাটাবেস তৈরির কাজ এগিয়ে চলছে।

নতুন এ ডাটা বেইস চালু হলে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত নগদ টাকা দিয়ে সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে। টাকার পরিমাণ এর বেশি হলে অবশ্যই ব্যাংকের চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে।

এ জন্য সঞ্চয়কারীর ব্যাংক হিসাব নম্বর, মোবাইল নম্বর দিতে হবে। ফলে এক ব্যক্তি কখন কত টাকার সঞ্চয়পত্র কিনেছে তার হিসাব নিবন্ধন করা থাকবে। একই সঙ্গে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগকৃত টাকার উৎস সম্পর্কেও জানা যাবে।

নতুন ডাটা বেইস চালু করা হলে ৫০ হাজার টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনতে চেকের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করতে হবে। দিতে হবে জাতীয় পরিচয়পত্র ও ই-টিন সনদের কপি।

চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর শেষে ২৪ হাজার ৯৯৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। একই সময়ে মোট বিক্রি হয়েছে দুই লাখ ৬২ হাজার ৭৬০ কোটি ছয় লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র। জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তথ্যসূত্র: একুশে টিভি।