ইজেনারেশন সফলতার সাথে তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের “ধ্বনি” সফটওয়্যারটি বাস্তবায়ন করেছে। এই সফটওয়্যারটি মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং, এবং ন্যাচারাল ল্যাংগুয়েজ প্রসেসিং এর মতো সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যাবহার করে বাংলা ভাষাকে ইন্টারন্যাশনাল ফোনেটিক অ্যালফাবেট বা আইপিএ-তে রূপান্তর করতে পারে।
আইপিএ বা ইন্টারন্যাশনাল ফোনেটিক অ্যালফাবেট হল আন্তর্জাতিক ধ্বনিভিক্তিক লিপ্যন্তরকরণ পদ্ধতি বা আন্তর্জাতিক ধ্বনিলিপি, যার উদ্দেশ্য হল বিশ্বের সব ভাষার সব ধ্বনিকে এক লিপিতে প্রমিতভাবে উপস্থাপন করা। “ধ্বনি” সফটওয়্যারটি বাংলা থেকে আইপিএ-তে রূপান্তরের সেই কাজটিই করবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক শুক্রবার এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে সফটওয়ারটি উদ্বোধন করেন ।
বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে তাৎক্ষণিক স্বয়ংক্রিয় কথ্য থেকে কথ্য রূপান্তর সহ বিভিন্ন প্রযুক্তিগত রিসোর্সের প্রয়োজন হয়। ইজেনারেশনের এআই, মেশিন লার্নিং, এবং এনএলপি টিম বিগত কয়েক বছর ধরে কথ্য থেকে কথ্য, লেখ্য থেকে কথ্য, এবং কথ্য থেকে লেখ্য এই সকল প্রযুক্তি নিয়ে একনিষ্ঠভাবে কাজ করার মাধ্যমে সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন “আমাদের উদ্দেশ্য বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে নেতৃস্থানীয় ভাষা হিসেবে বাংলা ভাষাকে প্রতিষ্ঠা করা, বিশেষ করে, বিশেষ করে বাংলা ভাষার ডিজিটাইজেশন নিশ্চিত করা। “ধ্বনি” এর মাধ্যমে পৃথিবীর সকল বাংলা ভাষাভাষী যেমন উপকৃত হবে, তেমনি ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী সদস্য ও বাক-দৃষ্টি-শ্রবণ প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীও এর সুফল পাবে।”
এ বিষয়ে ইজেনারেশন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম আহসান বলেন, “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং এবং ন্যাচারাল ল্যাংগুয়েজ প্রসেসিং এর মতো সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ইজেনারেশন এর সক্ষমতার উপর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আস্থা রাখার জন্য তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”
ইজেনারেশন এর এআই এবং এনএলপি বিভাগের সিনিয়র ডিরেক্টর প্রফেসর ডঃ মোঃ নূরুল হুদা বলেন, “এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্যে ছিল যাতে দেশি-বিদেশি সকলে বাংলাকে শুদ্ধ উচ্চারণে পড়তে পারে। এই প্রকল্পটির সফল সম্পাদন ইজেনারেশন এর বাংলা ভাষা প্রক্রিয়াকরণের সক্ষমতা আরো একধাপ এগিয়ে নিল।”