সৌদি আরব ও জাপানের সফট ব্যাংক যৌথভাবে তৈরি করতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোলার প্রজেক্ট। এই প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করতে খরচ হবে ২০০ বিলিয়ন ডলার। নতুন প্রিন্স ক্ষমতায় আসার পর সাম্প্রতিক সময়ে বড় আকারে প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে উঠেছে সৌদি আরব। খনিজ তেলের ওপর চাপ কমিয়ে বিকল্প শক্তির ওপর নির্ভরতা বাড়াতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি। সৌদি আরবে সূর্যের তাপমাত্রা অন্য অনেক দেশের চেয়ে বেশি। তাই বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের মতো এবার মরুভূমির দেশ সৌদি আরবও সৌরশক্তির ওপর নির্ভর করতে যাচ্ছে। দেশটিতে সৌর শক্তিকে কাজে লাগিয়ে কয়েক বছরের মধ্যেই সোলার প্যানেলের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য শক্তি সৃষ্টি করার কাজ চলছে। বেশ কয়েক বছর ধরেই নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যাপারে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সৌদি আরব। তবে সে চেষ্টা ছিল ধীর গতির। ২০১৩ সালের দিকে দেশটি মাত্র ২৫ মেগাওয়াট সৌর শক্তি উৎপাদন করে। সৌদি আরব বর্তমানে তাদের মোট তিন ভাগের দুই ভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদন করে প্রাকৃতিক গ্যাসের মাধ্যমে। গত বছর ৩০০ মেগাওয়াট সৌরশক্তি উৎপাদনের একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করে দেশটি।
এরই ধারাবাহিকতায় সৌদি আরব ও জাপানি কোম্পানি সফটব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে দেশটিতে শুরু হতে চলেছে বিশ্বের সবচয়ে বড় সোলার প্রজেক্ট। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে ২০০ গিগাওয়াট সৌরশক্তি উৎপাদন করা হবে। বিশাল এই প্রজেক্টে ১ লাখ লোকের কর্মসংস্থাণ হবে।
শুধু সৌর শক্তিই নয়, ১৬টি পারমাণবিক চুল্লি তৈরির পরিকল্পনা করছে দেশটি। এর জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৮০ বিলিয়ন ডলার। সে প্রেক্ষিতে ইউরেনিয়াম মজুত করার পরিকল্পনাও করেছে দেশটি। এতে ইরানের মতো মধ্যপ্রাচ্যে পরমাণু শক্তি নিয়ে উত্তেজনা হয়তো আরো বাড়িয়ে দিয়ে পারে সৌদি আরব। তবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোলার প্লান্ট তৈরি সম্পন্ন হলে সৌদি আরবের বিদ্যুৎ বর্তমানের তুলনায় তিন গুণ উৎপাদন হবে। এতে বিদ্যুৎ খরচ কমবে ৪০ বিলিয়ন ডলার।