বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান ব্যবহারকারীর চাহিদা মেটাতে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন ভাইবার বাংলায ভাষায় নতুন ইউজার ইন্টারফেস (ইউআই) চালু করেছে। এটি বাংলাদেশের মানুষের জন্য ভাইবারের গুরুত্বপূর্ণ আপডেট যা স্মার্টফোন ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা বাংলায় খুব সহজেই অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারবেন। ডিফল্ট এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনসহ সুরক্ষিত ক্রস-প্ল্যাটফর্ম যোগাযোগের অ্যাপ্লিকেশন হিসেবে বিশ্বব্যাপী ভাইবারের সুনাম রয়েছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ব্যক্তি এবং কমিউনিটি পর্যায়ে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। প্রতিষ্ঠানটি তাদের অ্যাপটিকে ব্যবহার বান্ধব করার জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। যেখানে নতুন ফিচার যুক্ত করা হয়েছে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং সেলিব্রিটিদের জন্য স্থানীয় কমিউনিটি তৈরি করেছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি দেশি এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য প্রথমবারের মতো নতুন স্টিকার প্যাক নিয়ে এসেছে। “ভাইবার বর্তমানে বাংলাদেশে দ্রুত অগ্রসরমাণ চ্যাট অ্যাপ্লিকেশনগুলোর মধ্যে অন্যতম। ইতিমধ্যে অ্যাপটি এ দেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। সুতরাং, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ইংরেজির পাশাপাশি আমরা স্থানীয় জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করে বাংলায় ইউজার ইন্টারফেস চালু করার, যাতে করে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ খুব সহজেই অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারে। আমরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি নতুন নতুন ধারণা নিয়ে আসার যেনো খুব সহজেই অ্যাপটি ব্যবহার করা যায় এবং সেই সাথে এর ব্যবহারকারী সাথে সম্পৃক্ততা বজায় রাখা যায়,”-বলেন অনুভব নায়ার, সিনিয়র ডিরেক্টর, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট, এপিএসি, রাকুটেন ভাইবার। উল্লেখ্য, ভাইবার সর্বপ্রথম ২০১৬ সালে বাংলায় স্টিকার প্যাক চালু করে। এরপর তারা সুবিন্যস্ত স্টিকার প্যাক উন্মোচন করেছে যেমন উরা ধুরা, বিশ্ব (ওর্য়াল্ড কাপ) ক্রিকেট ২০১৯, ভালোবাসা ভালোবাসি ইত্যাদি। স্টিকারগুলোতে বাংলা বিভিন্ন ধরনের ক্যারেকটার ছিল, যা ব্যবহারকারীদের ভাব প্রকাশের ক্ষেত্রে নানা ধরনের ও আকর্ষণীয় স্টিকার সরবরাহ করেছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ব্যক্তিগত এবং কমিউনিটি পর্যায়ে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ভাইবার ব্যবহার করে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে মিডিয়া আউটলেট ও টেলিযোগাযোগ খাতের প্রতিষ্ঠান (গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ইত্যাদি)। ব্যবহারকারীরা ভাইবার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বিভিন্ন বিবৃতি ও হালনাগাদ তথ্য পেতে পারে। পাশাপাশি পাবলিক অ্যাকাউন্টের অ্যাডমিন প্যানেলের সহায়তায় বার্তা প্রেরণ এবং গ্রহণের ক্ষেত্রে ওয়ান-অন-ওয়ান মেসেজ পাঠাতে সক্ষম হবে। প্রতিনিয়তই ভাইবারের ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে, এরই ধারাবাহিকতায় দ্রুত অগ্রসরমাণ চ্যাট অ্যাপ্লিকেশনটি বাংলা ইন্টারফেস এবং স্টিকার নিয়ে আসার মাধ্যমে বাংলাদেশিদের মাঝে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এবং অ্যাপটি মাতৃভাষায় জনগণের সাথে সম্পৃক্ত হচ্ছে। ভাইবার অ্যাপ ব্যবহারকারীরা সেটিং অপশনে যেয়ে ইন্টারফেসটি বাংলায় পরিবর্তন করতে পারবেন। অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে এই লিংক থেকে: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.viber.voip
রাকুটেন ভাইবার: রাকুটেন ভাইবারে আমরা মানুষকে যুক্ত করি। তাঁরা কে বা কোথাকার তা মুখ্য নয়। আমাদের বৈশ্বিক ব্যবহারকারীরা এটা ব্যবহার করার মাধ্যমে বেশ কিছু সুবিধা পেয়ে থাকে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ওয়ান-অন-অন চ্যাট, ভিডিও কল, গ্রুপ মেসেজিং। এছাড়া ব্যবহারকারীরা তাদের প্রিয় ব্র্যান্ড এবং সেলেব্রেটিদের সাথে আলোচনা ও তাদের সাম্প্রতিক কর্মকান্ড সম্পর্কে খোঁজ খবর পেতে পারবে এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে। সেই সাথে আমরা ব্যবহারকারীদের নিরাপদ ও সুরক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করি যেন তাঁরা সংশয় না রেখে তাদের মনের কথাগুলো প্ল্যাটফর্মটিতে শেয়ার করতে পারে। রাকুটেন ইনকরপোরেট বিশ্বের ই-কমার্স এবং ফিন্যান্সিয়াল সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটির একটি অংশ হচ্ছে রাকুটেন ভাইবার। বিশ্বের জনপ্রিয় ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনার অফিসিয়াল যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। পাশাপাশি রাকুটেন ভাইবার যুক্ত রয়েছে গোল্ডেন স্টেইট ওয়ারিয়রস-এর অফিসিয়াল ইন্সট্যান্ট মেসেজিং এবং কলিং অ্যাপ পার্টনার হিসেবে। তো আর দেরি না করে আজই যুক্ত হোন ভাইবারে। আর উপভোগ করুন বিরামহীন যোগাযোগ। বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন এই ঠিকানায়: media@viber.com
রাকুটেন: রাকুটেন প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৭ সালে জাপানের রাজধানী টোকিওতে। মূলত এর যাত্রা শুরু হয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস হিসেবে। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানটি ব্যক্তি, কমিউনিটি, ব্যবসা এবং সমাজের উন্নয়নে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করেছে যা এখনও চলমান রয়েছে। রাকুটেন বিশ্বের প্রায় ১ বিলিয়ন ব্যবহারকারীদের ই-কমার্স, ফিনটেক, ডিজিটাল কনটেন্ট সেবা প্রদান করছে। ২০১২ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি টাইম ম্যাগাজিনের ‘বার্ষিক ওয়ার্ল্ড মোস্ট ইনোভেটিভ কোম্পানি’ তালিকায় সেরা ২০-এর মধ্যে রয়েছে। রাকুটেন গ্রুপ বিশ্বের ২৯ টি দেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে, যেখানে কর্মরত রয়েছে ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষ।