TechJano

সম্পূর্ণভাবে ডিজিটাল করতে হবে শিক্ষাকে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন ডিজিটাল যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষাকে সম্পূর্ণভাবেই ডিজিটালাইজ করার বিকল্প নেই এবং প্রাথমিক স্তর থেকেই তা শুরু করতে হবে।করোনা পরিস্থিতিতে এটি আরও ব্যাপকভাবে অনুভূত হয়েছে যে শিক্ষাকে ডিজিটাল রূপান্তরের বিকল্প নেই।

মন্ত্রী বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের কাজ শুরু করেছি। শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের চ্যালেঞ্জসমূহ অতিক্রম করার জন্য শক্তিশালী অবকাঠামো তৈরিসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং শিক্ষা ব্যবস্থাপনার সাথে সম্পৃক্ত সকলকে ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

মন্ত্রী আজ নেত্রকোণার খালিয়াজুরী উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনলাইন পাঠদান বিষয়ে ডিজিটাল প্লাটফর্মে আয়োজিত বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মানুষ গড়ার ভবিষ্যত ভিত্তি হিসেবে প্রাথমিক শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, মানুষ তৈরির প্রাথমিক ধাপের কারিগর হচ্ছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ। প্রাথমিক শিক্ষকরা কেবলমাত্র শিক্ষকই নন পাশাপাশি তারা ব্যবস্থাপকও।

তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষকরাই সফল ব্যক্তিদের তৈরি করেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমি স্বপ্ন দেখি দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় ডিজিটাল বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হবে। মন্ত্রী হাওরের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে বলেন, গত ১১ বছরে সরকারের গৃহীত যুগান্তকারী বিভিন্ন কর্মসূচির ফলে হাওর এখন আর পশ্চাদপদ জনপদ নয়। হাওরের যোগাযোগ ব্যবস্থাতেও অভাবনীয় পরিবর্তনের যাত্রা শুরু হয়েছে। নেত্রকোণা থেকে ধর্মপাশা হয়ে সুনামগঞ্জ পর্যন্ত এলিভেটেড সড়ক নির্মাণের কার্যক্রমও আমাদের সরকার শুরু করেছে যা এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বিস্ময়কর ভূমিকা রাখবে। হাওরের বিদ্যমান যোগাযোগ ব্যবস্থার পরিবর্তনের সাথে এখানকার জীবন যাত্রায় সূচিত হচ্ছে নতুন অধ্যায় । হাওরবাসির উন্নয়নের কথা অতীতের কোন সরকারই এতটা মমতা দিয়ে দেখেনি যতোটা শেখ হাসিনা সরকার দেখছে।

দেশের তথ্য প্রযুক্তি বিকাশের কিংবদন্তী মোস্তাফা জব্বার শৈশবের স্মৃতিচারণ করে বলেন, নিজ বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নের পর এই এলাকায় হাইস্কুলে পড়ার সুযোগ হয়নি। আমাদের ছেলে মেয়েরা অত্যন্ত মেধাবি উপযুক্ত পরিবেশ পেলে তারা পৃথিবীও জয় করতে পারে ।

তিনি বলেন, আমাদের শিশুদের জন্য ভাল কিছু করতে পারলে জীবনে যা পেয়েছি তার প্রতিদান হিসেবে কিছুটা হয়ত শোধ করতে পারব। এরই ধারাবাহিকতায় নিজের জমি বিক্রির টাকায় তৈরি বিজয় ডিজিটাল শিক্ষা কনটেন্ট অন-লাইনে শিক্ষার্থীদের বিনা টাকায় দিচ্ছি। তিনি হাওরের ৬শত ৫০টি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ডিজিটাল করা, দশটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল ডিভাইস প্রদানের তার গৃহীত উদ্যোগের কথা এই সময় উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে খালিয়াজুরী উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম কিবরিয়া জব্বার, খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচ এম আরিফুল ইসলাম, উপজেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম, উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষকদের পক্ষে খালিয়াজুরী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবু ইন্দ্রজিত, উপজেলার গাজিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিপালি তালুকদার প্রমূখ বক্তৃতা করেন।

গোলাম কিবরিয়া জব্বার গত ১১ বছরে খালিয়াজুরী উপজেলার অগ্রগতি তুলে ধরে বলেন, যোগাযোগ শিক্ষা, অবকাঠামোসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। অগ্রগতির এই ধারা অব্যাহত থাকলে খালিয়াজুরী দেশের অন্যকোন অঞ্চল থেকে পিছিয়ে থাকবে না। খালিয়াজুরী দুর্গম এলাকা হিসেবে কেউ বিবেচনা করবে না। তিনি এই অঞ্চলে সরকারি উদ্যোগে মৎস্য ও ধান-চাল ভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠানে শিক্ষক প্রতিনিধিগণ, ডিজিটাল শিক্ষা বিস্তারে বিজয় শিক্ষা কনটেন্টকে শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই কার্যকর উপকরণ হিসেবে উল্লেখ করেন। তারা বলেন, এই কনটেন্টটে পাঠদানের ফলে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেড়ে গেছে। তারা নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণসহ উচ্চ গতির ইন্টারনেট এবং দরীদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে ডিজিটাল ডিভাইস সরবরাহের জন্য মন্ত্রীর

Exit mobile version