সরকারি কর্মকর্তাদের এক সেমিনারে হাজির করেছিল মাইক্রোসফট বাংলাদেশ। কিন্তু কি উদ্দেশ্যে?তথ্য ও প্রয়োজনীয় কৌশল গ্রহণ করে ক্রিটিকাল ইনফরমেশন সিস্টেম, অবকাঠামো সুরক্ষা এবং দেশের ম্যালওয়্যার ও ডিজিটাল ঝুঁকি কমানোর মাধ্যমে সরকারি সংস্থার ক্ষমতায়নে মাইক্রোসফট কাজ করছে। বিষয়গুলোতে মাইক্রোসফট কিভাবে আরো ভালোভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে এবং বর্তমান ভূমিকা নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এবং মাইক্রোসফট বাংলাদেশ সেমিনারটির আয়োজন করে।সেমিনারে সাইবার অপরাধের ক্ষেত্র এবং ট্রাস্টেড ও সিকিউর টেকনোলজি কিভাবে সরকারকে তথ্য সুরক্ষায় সহায়তা করতে পারে এমন নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব পার্থ প্রতিম দেব ও মাইক্রোসফট বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান ও লাওসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের পরিচালক তারিক এম বারকাত উল্লাহ।মাইক্রোসফট বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান ও লাওসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির বলেন, বর্তমান সময়ে বিশ্বব্যাপী সরকার ও সংস্থাগুলো আগের চেয়েও গুরুত্ব সহকারে সাইবার নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করছে।তিনি বলেন, ডিজিটালকরণের দিকে যাত্রার পাশাপাশি সরকার সাইবার নিরাপত্তার ওপর অগ্রাধিকার দিচ্ছে। তথ্য ও প্রযুক্তি সুরক্ষার ক্ষেত্রে বৈশ্বিকভাবে নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে মাইক্রোসফটের লক্ষ্য সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে বাংলাদেশের সরকারি খাতের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করা এবং দেশের ডিজিটাল রূপান্তরে গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ভূমিকা পালনে বিশ্বস্ত ও নিরাপদ কম্পিউটার ব্যবহারের পরিবেশ তৈরি করা।সেমিনারে তিনটি বিষয়ের ওপর অগ্রাধিকার দেয়া হয়। সাইবার নিরাপত্তা ও ট্রাস্টেড টেকনোলজি, সফটওয়্যার অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ও সাইবার নিরাপত্তা সম্পৃক্ততা-সাইবার সুরক্ষার অবকাঠামোয় সফটওয়্যার ডেপ্লয়মেন্ট, ব্যবহার ও লাইসেন্সিং মডেল এবং তৃতীয়টি, সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত নির্দেশনা ও ডিজিটাল বিশ্বে সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে সর্বোত্তম অনুশীলন।সেমিনারে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ, বিসিসি এবং মাইক্রোসফটের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।