TechJano

সরকারি চাকরিজীবীদের আরও সুদিন!

সরকারি চাকরিজীবীদের আরও সুদিন। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে ভাবছে সরকার। আগামী নির্বাচনের তফসিলের আগেই এ বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে। তবে এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম জাতীয় সংসদে বলেছেন, এই বয়স বাড়ানোর পরিকল্পনা সরকারের নেই। কিন্তু অনেকেই বলছেন, সরকারি চাকরিজীবীদের এ বছরের অক্টোবররে মধ্যেই বাড়ানো হবে বয়সসীমা।

বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর। ২০১১ সালে সরকারি কর্মকর্তাদের অবসরের বয়সসীমা দুই বছর বাড়ানোর পর ঢোকার বয়সও বাড়ানোর দাবি ওঠে চাকরি প্রত্যাশী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে।

তবে সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলনসহ নানা ঘটনাপ্রবাহের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ বছর থেকে দুই বছর বাড়িয়ে ৩২ করার চিন্তা করা হচ্ছে। আর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ থেকে করা হতে পারে ৩৪।

দীর্ঘদিন ধরে চাকরি প্রত্যাশীরা সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর আন্দোলন করে আসছে। সরকার বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে চিন্তা করছে। তবে চাকরি প্রত্যাশীরা ৩৫ বছরের দাবি করে এলেও ৩২ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর চিন্তা করছে সরকার।

তিনি আরো জানান, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে এই ঘোষণা এলে তা অক্টোবরে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই আসতে হবে। কারণ, তফসিল ঘোষণা হলে সরকারের আর নীতি নির্ধারণী কোনো কাজ করার সুযোগ থাকবে না।

তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদিক বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি এখন কথা বলতে পারব না।’

সংসদীয় কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমান বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর প্রস্তাবটি দীর্ঘদিন ধরে বিবেচনাধীন ছিল। বিস্তারিত আলোচনা শেষে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার সুপারিশ করেছি আমরা। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির এর আগেও চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর সুপারিশ করেছিল।’

২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব ছিল। পরবর্তীতে ২০১৪ ও ২০১৫ সালের জেলা প্রশাসক সম্মেলনে এ প্রস্তাবের পক্ষে বিভিন্ন জেলা-প্রশাসকরা সমর্থন দিয়েছিলেন।

প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ২০১১ সালের ২৬ ডিসেম্বর তারিখে ২০১১ অধ্যাদেশ মোতাবেক সরকারি কর্মচারীদের অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৫৭ থেকে ৫৯ বছর করা হয়েছে। কিন্তু চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট বয়সসীমা ৩০ বছর রয়েছে। চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। তথ্যসূত্র: বিডিজার্নাল।

Exit mobile version