TechJano

সরকার উদ্ভাবনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে: প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী পলক

‘আজকের উদ্ভাবন, আগামীর সম্ভাবনা’ প্রতিপাদ্য নিয়ে প্রথমবারের মতো অনলাইনে শুরু হয়েছে “বাংলাদেশ ইনোভেশন সামিট ২০২০” । আজ প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে দুই দিনের এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরাম এর প্রতিষ্ঠাতা আরিফুল হাসান অপুর সভাপতিত্বে চতুর্থবারের মতো আইয়োজিত এই সম্মেলনে প্রায় ৩০ জনের অধিক দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বক্তা কথা বলবেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে
সংযুক্ত হয়েছেন প্রায় বিশ হাজারের মতো অংশগ্রহণকারী।

সম্মেলনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর শুরু হচ্ছে বিজনেস সামিট এবং আইটি প্রফেশনালস মিট-আপ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন সম্মেলনের সকল উদ্ভাবন ও পরামর্শ বাস্তবায়নে আইসিটি বিভাগ সর্বাত্মক সহায়তা করবে ।

তিনি বলেন পৃথিবীর সামনে যে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আসছে তা মোকাবেলার জন্য নতুন নতুন প্রযুক্তি যেন আমাদের তরুণদের হাতে থাকে, এবং তারা এই সকল বিষয় গবেষণা করে যেন নতুন নতুন উদ্ভাবন করতে পারে এবং উদ্ভাবনের মাধ্যমে আমাদের স্থানীয় ও জাতীয় সমস্যাগুলো সমাধান করে আমরা যেন আত্মনির্ভরশীল ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হতে পারি তার জন্য এই ইনোভেশন সামিট খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

এসময় এই সম্মেলন থেকে যে নতুন নতুন উদ্ভাবন আসবে সেগুলো আইসিটি বিভাগে পাঠানো হলে তরুণ উদ্ভাবকদের ভবিষ্যত স্বপ্নপূরণে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া হবে বলে তিনি জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, অগমেন্টেড রিয়েলিটি কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এর মতো উদীয়মান ও জীবন বদলে দেয়ার প্রযুক্তির রয়েছে, সেগুলো নিয়ে গবেষণার জন্য হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দেশের ১৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত ল্যাব তৈরি করছে আইসিটি বিভাগ।

আইসিটি বিভাগ উদ্ভাবনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে পলক বলেন, ‘আমরা তরুণদের একদিকে যেমন প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত করছি, অপরদিকে গবেষণায় তারা যেন উৎসাহ পায়, সুযোগ পায়, তার জন্য আমরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং কলেজ পর্যায়ে আমরা গবেষণা ল্যাব তৈরি করেছি। একদিকে যেমন ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোবাইল গেমিং অ্যাপলিকেশন অ্যান্ড এনিমেশন ল্যাব তৈরি করেছি; অপরদিকে বিগডেটা এনালিটিকস, আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স, সাইবার সিকিউরিটির মতো যেসব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি রয়েছে, যেগুলো ভবিষ্যতে সকল অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমে মূল ভূমিকা পালন করবে সেগুলো নিয়েও গবেষণার সুযোগ প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তৈরি করে দিয়েছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

Exit mobile version