TechJano

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়ার বিষয়ে অর্থবহ পরামর্শের আহ্বান জানিয়েছে আর্টিকেল নাইনটিন

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আর্টিকেল নাইনটিন, যা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও তথ্য অধিকার নিয়ে কাজ করে, ২০২৫ সালের সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদনের আগে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সঙ্গে অর্থবহ ও কার্যকর পরামর্শের আহ্বান জানিয়েছে।

গত ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪ অনুমোদন করেছিল। তবে, অধ্যাদেশের খসড়া তৈরির আগে সরকার সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে যথাযথ পরামর্শ করেনি।

অধ্যাদেশের বর্তমান খসড়াটি কার্যকর হলে স্বাধীন সাংবাদিকতা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই, আর্টিকেল নাইনটিন সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫-এ নিম্নলিখিত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানাচ্ছে:

এই আইনটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে, বিশেষ করে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গোপনীয়তা রক্ষার ক্ষেত্রে।

আইনে “সাইবার বুলিং,” “সহায়তা প্রদান,” এবং “ঘৃণা ছড়ানো”-এর মতো শব্দগুলোর স্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা থাকতে হবে, যাতে এগুলো শুধুমাত্র সহিংসতা উসকে দেওয়ার মতো ক্ষতিকর ও বেআইনি কর্মকাণ্ডের জন্য প্রযোজ্য হয়।

আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সরকারি সংস্থাগুলোকে আরও স্বচ্ছতার সাথে কাজ করতে হবে এবং স্বাধীন তত্ত্বাবধানের আওতায় আনতে হবে, যাতে এই সংস্থাগুলোর কার্যক্রমের জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়। নাগরিকদের অধিকারে প্রভাব ফেলে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বিচারিক অনুমোদনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার জন্য কার্যকর সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে সাইবার নিরাপত্তার নামে ব্যাপক নজরদারির মাধ্যমে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ণ না হয়।

আর্টিকেল নাইনটিন অন্তর্বর্তী সরকারকে আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সংম্পর্কিত চুক্তির (ICCPR) সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই খসড়া আইনকে পর্যালোচনা ও সংশোধনের আহ্বান জানায়।

Exit mobile version