ফেক অ্যাকাউন্ট নিয়ে বীতশ্রদ্ধ বিশ্বের শীর্ষ ধনী ও টেসলার সিইও টুইটার কেনার সিদ্ধান্ত সাময়িক স্থগিত করার কথা বলেছিলেন। পরে এতে টুইটারের শেয়ারের দাম ব্যাপক পড়ে যায়। এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। তবে পরে টুইট করি তিনি বলেছেন, টুইটার কেনার সিদ্ধান্তে অবিচল আছেন তিনি।
ইলন মাস্ক এখন খোঁজ-খবর করছেন টুইটারে কতগুলো ফেক অথবা স্প্যাম অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তিনি এখন সেই তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছেন মোট টুইটার ব্যবহারকারীদের মধ্যে ফেক বা স্প্যাম অ্যাকাউন্টের সংখ্যা শতকরা পাঁচ শতাংশের নীচে কিনা।
চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ফেক অ্যাকাউন্টের সংখ্যা মোট ইউজারদের শতকরা পাঁচ ভাগেরও কম গত দু’সপ্তাহ আগে টুইটার জানিয়েছিল। ইলন মাস্ক টু্ইটার থেকে সব ফেক কিংবা স্প্যাম অ্যাউন্ট দূর করতে চান। স্বদীর্ঘদিন ধরে টুইটার ভুগছে ফে সমস্যা নিয়ে। সেই তথ্য এখন যাচাই করে দেখছেন ইলন মাস্ক।
শেয়ার বাজারে লেনদেন শুরু হওয়ার আগেই এই ঘোষণার পর টুইটারের দাম ২৫% পড়ে গেছে। এই বিক্রি শেষ পর্যন্ত না ঘটলে, চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ক্ষতিপূরণ হিসেবে তাকে ১০০ কোটি ডলার টুইটারকে দিতে হবে।
ট্রাম্পকে নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি ইলন মাস্ক বলেছেন, টুইটার কিনলে তাঁর অন্যতম অগ্রাধিকার হবে এ প্ল্যাটফর্মকে ‘স্প্যাম বট’মুক্ত করা। শুক্রবার তিনি বলেন, ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে তিনি টুইটার কেনার প্রক্রিয়া সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন।
এর কারণ হিসেবে তিনি স্প্যাম বটের বিস্তারিত তথ্য না পাওয়ার কথা বলেছেন। টুইটারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এই প্ল্যাটফর্মে স্প্যাম বা ভুয়া অ্যাকাউন্টগুলো প্রকৃতপক্ষে ৫ শতাংশ বা এরও কম ব্যবহারকারীর প্রতিনিধিত্ব করে। এ দাবির সমর্থনে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছেন ইলন মাস্ক। এর আগে মঙ্গলবার ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক সম্মেলনে ইলন মাস্ক বলেছিলেন, ট্রাম্পকে টুইটারের নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নৈতিকভাবে ভালো ছিল না।
এরপর বৃহস্পতিবার তিনি ট্রাম্প সম্পর্কে নিজের অবস্থান আরও স্পষ্ট করেন। নিজের পছন্দের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সম্পর্কে ইলন মাস্ক বলেন, ‘যদিও আমি মনে করি, ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কম বিভক্ত প্রার্থী উপযুক্ত হবেন। তবে আমি ট্রাম্পকে তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট অবশ্যই ফেরত দেওয়ার পক্ষে।’