সিটিও এক্সিলেন্সি অ্যাওয়ার্ড পেলেন ডাচ বাংলা ব্যাংকের এমডি আবুল কাশেম শিরিন

২০১৮ সালে সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ আয়োজিত সিটিও টেক সামিট ২০১৮-এ কৌশলগত নেতৃত্ব, তথ্য প্রযুক্তি বাস্তবায়নে অবদান এবং ডাচ বাংলা ব্যাংকে ডিজিটাল উন্নয়নে ভূমিকা রাখায় ডাচ বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবুল কাশেম মো. শিরিনকে “সিটিও এক্সিলেন্সি অ্যাওয়ার্ড ২০১৮”পেলেন।
২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ তথ্য প্রযুক্তিবিদদের একটি অসাধারণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে। তথ্য ও প্রযুক্তিবিদদের তাদের কর্মকান্ড দক্ষভাবে করার অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করছে এটি। এটি একটি স্বেচ্ছাসেবক প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রযুক্তিবিদরা একে অন্যের সাথে তথ্য আদান প্রদান করে নিজেদের জ্ঞানের সমৃদ্ধি আনতে পারেন।
সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ প্রতি বছর নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে তথ্য প্রযুক্তি খাতে অসামান্য অবদানের জন্য “সিটিও এক্সিলেন্সি অ্যাওয়ার্ড” প্রদান করে সিটিওদের সম্মানিত করে আসছে।
“সিটিও এক্সিলেন্সি অ্যাওয়ার্ডটি ২০১৬ সাল থেকে প্রদান করা হচ্ছে এবং ২০১৬ সালের প্রথম সিটিও এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছিল প্রফেসর জামিলুর রেজা চৌধুরীকে।
ডাচ বাংলা ব্যাংকের (ডিবিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মোঃ শিরিন ২০০৩ সালে হেড অব আইটি হিসাবে ডাচ বাংলা ব্যাংকে যোগদান করেন। তার নেতৃত্বে ডিবিবিএল দেশের সবচেয়ে বড় এটিএম নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করেছে যা ব্যাংকের জন্য বিপুল পরিমাণ গ্রাহক আকৃষ্ট হয়েছে। তিনি দুই স্তর (2 এফএ) নিরাপত্তা এবং প্রথম চিপ-ভিত্তিক নিরাপদ ইএমভি ক্রেডিট এবং ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে দেশের প্রথম ই-কমার্স পেমেন্ট গেটওয়ে স্থাপনের জন্য বৃহত্তম পিওএস নেটওয়ার্ক স্থাপন করেছেন।
২০১১ সালে তিনি ডিবিবিএলের মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস (মোবাইল ব্যাংকিং) পরিকল্পনা এবং সফলভাবে শুরু করেছেন যা দেশের প্রথম উদ্যোগ। সম্প্রতি (জানুয়ারী ২০১৫) তিনি ডিবিবিএল-এ ব্যায়ো-মেট্রিক ভিত্তিক এজেন্ট ব্যাংকিং অপারেশন শুরু করার জন্য প্রযুক্তিগত এবং ব্যবসায় উভয়েরই তাঁর জ্ঞান প্রশংসার সাক্ষর রেখেছেন।
আবুল কাশেম মোঃ শিরিন তার কাজের স্বীকৃতি হিসাবে ডাচ বাংলা ব্যাংকে তাকে পর্যায়ক্রমে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে উনীত করে। ডাচ-বাংলা ব্যাংকে যোগদানের আগে তিনি বেসিক ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার এবং আইটি প্রধান ছিলেন।
আবুল কাশেম মোঃ শিরিন সুনামগঞ্জ জুবিলি হাইস্কুল, সিলেট এম.সি. কলেজ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি  বিশ্ববিদ্যালয়(বুয়েট)এবং এশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি(এআইটি),ব্যাংককে পড়াশোনা করেছেন।