দেশে সাইবার নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিয়ে সিটিও টেক সামিট-২০১৮ শুরু হচ্ছে। এ বিষয়ে সিটিও ফোরামের সভাপতি তপন কান্তি সরকার বলেছেন-দেশে সাইবার নিরাপত্তা খাতেই এক হাজারের বেশি দক্ষ কর্মীর চাহিদা আছে। এ ছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে প্রচুর দক্ষ কর্মীর কাজের সুযোগ আছে। আগামী ১১ই ও ১২ই মে ২০১৮ রোজ শুক্র ও শনিবার দেশে প্রথম বারের মত অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘সিটিও টেকসামিট-২০১৮’। এ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মলনে এ কথা বলেন সিটিও ফোরামের সভাপতি তপন কান্তি সরকার। তপন কান্তি সরকার বলেন, ১ম দিন রাজধানীর ধানমন্ডি ক্লাবে উদ্বোধন এবং ২য় দিন ড্যাফোডিল টাওয়ারের মিলনায়তন ৭১ এ দুইদিন ব্যাপি আয়োজন অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের সকল প্রযুক্তি কর্মকর্তাদের জন্যে সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ কতৃক আয়োজিত ‘সিটিও টেক সামিট-২০১৮। এই উপলক্ষ্যে আজ ৫ই মে, শনিবার, ঢাকার ধানমন্ডি ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিটিও ফোরামের সভাপতি তপন কান্তি সরকার, ফোরামের সাধারন সম্পাদক ড.ইজাজুল হক, সহ সভাপতি দেবদুলাল রায়, যুগ্ম সম্পাদক আরফি এলাহি মানিক, যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, নিবার্হী সদস্য আজিম ইউ হক, নিবাহী সদস্য মোঃ নুরুল ইসলাম মজুমদার, ফেলো মেম্বার গোপাল চন্দ্র গুহ রায় এবং ‘সিটিও টেকসামিট – ২০১৮’ এর সমন্বয়ক তাহের আহমেদ চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় দুই দিনের আয়োজনে দেশের বিভিন্ন সেক্টরে কর্মরত প্রযুক্তিবিদগন অংশগ্রহন করবেন, এছাড়াও দেশের তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, সরকারের নীতিনির্ধারক, গবেষক এবং শিক্ষার্থী অংশ নেবেন। ডিজিটাল বাংলাদেশে দেশের প্রায় প্রতিটি খাতেই প্রযুক্তির প্রয়োগ অপরিহার্য। আর এই কাজটিকে দক্ষতার সাথে পরিচালনা র্অথাৎ ব্যবসায়িক কাজে প্রযুক্তি প্রয়োগ ব্যবসায়িক উন্নয়ন বা সক্ষমতা বাড়াবার কাজটির র্পূর্ন তদারকিতে থাকেন একজন সিটিও। একজন সিটিওকে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রযুক্তিতে নিজেদের অভ্যস্থতা, সাইবার জগতের সুবিধা এবং প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করতে হয়। যেহেতু প্রযুক্তি প্রতিনিয়তই পরিবর্তনশীল তাই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিটিওদের নিজেদের অভিজ্ঞতার আদান প্রদানের মাধ্যমে ব্যক্তি সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি আর এর জন্য প্রয়োজন একটি প্লাটর্ফম সিটিও ফোরাম দীর্ঘদিন ধরে এই প্লাটর্ফম তৈরীর কাজটিই করে আসছে সফলতার সাথে। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের এ আয়োজন । এবারের আয়োজনে দেশের সিটিওরা আরও কিভাবে একে অন্যের সহায়তায় তথ্যপ্রযুক্তিতে সক্ষমতা অর্জন সহ বিরাজিত সমস্যা গুলো মোকাবেলা করা যায় সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবেন। এবং সরকারের রূপকল্প- ২০২১ বাস্তবায়নে প্রযুক্তিক প্রতিবন্ধকতা এবং সমাধানের উপায়গুলো তুলে ধরা হবে। দেশের সিটিওদের মধ্যকার সর্ম্পকে আরো জোরদার করাও এই সামিটের অন্যতম লক্ষ্য। আয়োজন সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে জানতে চাইলে সিটিও ফোরামের সভাপতি তপন কান্তি সরকার বলেন-দেশে প্রথমবারের মত সিটিও টেক সামিট ২০১৮ এর উদ্যোগ নিতে পরেে আমরা আনন্দিত ও গর্বিত। এ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি সংশ্লষ্টি গণ্যমান্য এবং নীতি নির্ধারনী ব্যক্তিগণ একত্রিত হচ্ছেন যা আমাদের কমিনিউটি উন্নয়নে ইতিবাচক ভুমিকা পালন করবে বলে আমি মনে করি। বর্তমানে যে ইমার্জিং টেকনোজলি নিয়ে আমরা কথা বলছি সে প্রযুক্তির সফল ব্যবহার কিভাবে করা যায় এটা গুরত্বপূর্ন। এধরনের আয়োজন এই বিষয়গুলোর উন্নয়নে কার্যকরী বলে আমরা মনে করি। তাই দুই দিনের এ আয়োজনে সিটিও সহ সংশ্লষ্টিদরে অংশগ্রহনের আহ্বান জানান ফোরামের সভাপতি। আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এবারের আয়োজনে সাইবার হুমকি, সাইবার নিরাপত্তা, ব্লকচইেন, বিটকয়েন, ইকর্মাস এবং ডিজিটাল পেমেন্ট ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে। গত কয়েক বছর সিটিওদের জন্য বিভিন্ন ধরনের আয়োজন করা হলেও এবার আরও বড় পরিসরে সিটিও সামিট আয়োজন করা হবে। দেশের সিটিওদের দক্ষতা উন্নয়নে এ আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে বলে আশা করেন আয়োজকরা। এবারের আয়োজনে ৮টি সেমিনার ও কর্মশালায় স্থানীয় প্রায় ৪০ জন স্পীকার সামিটে অংশগ্রহন করবেন।