সাইবার ঝুকি এবং সাইবার নিরাপত্তা সহ ডিজিটিাল এ্যাক্ট বিষয়ে বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সদস্য সাংবাদিকদের দক্ষতা উন্নয়নে দিনব্যাপী এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সিটি ফোরাম বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের (বিএনএসকে)যৌথ আয়োজনে রাজধানীর সফটওয়্যার পার্কে অনুষ্ঠিত এই প্রশিক্ষন কর্মশালা বিভিন্ন পত্রপত্রিকা, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া হতে ২০ জন সাংবাদিক অংশগ্রহন করেন।
সিটিও ফোরামের সভাপতি তপন কান্তি সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ফোরামের সহ-সভাপতি এবং বাংলাদেশ হাইটেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. বিকর্ণ কমার ঘোষ এবং বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের (বিএনএসকে) সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু।
প্রশিক্ষনে সাইবার ঝুকি এবং সাইবার নিরাপত্তা সহ ডিজিটিাল এ্যাক্ট বিষয়ে মূল বক্তব্য প্রদান করেন সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের মহা সচিব আরফে এলাহি মানিক। দুই পর্বে আয়োজিত এই কর্মশালা সঞ্চালনা করেন নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক নাজনীন নাহার।
সভাপতির বক্তব্যে তপন কান্তি সরকার বলেন-, তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধ থেকে সচেতনতা তৈরির পাশাপাশি সুরক্ষায় তাদের মধ্যে প্রাযুক্তি সক্ষমতা গড়ে তুলতে আমরা কাজ করছি। সেই ধারাবাহিকতায় জাতীয় সঙ্কট বা প্রয়োজনের নিরিখে যেমন তরুণদের অংশগ্রহণে হ্যাকাথনের আয়োজন করা হয়; তেমনি আমরা পেশাদারদের দক্ষতা উন্নয়নেও সচেষ্ট। আমরা জানি সাইবার বিশ্বে সুবিধার পাশাপাশি বিভিন্নভাবে আমাদের নারীরা নিরাপত্তার ঝুকিতে রয়েছে। তথ্য প্রযুক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে সাইবার জগতে তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ । আমাদের নারী সাংবাদিকরা যদি নিজেরা সতর্ক হন এবং তাদের লেখার মাধ্যমে অন্যদের সতর্ক করতে পারে তাহলে সাইবার জগতে নারীর নিরাপদ অংশগ্রহন বাড়বে। সেই লক্ষ্যে ই এই প্রশিক্ষনের আয়োজন। এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। আগামীতে অন্য কোনো সংগঠনের সদস্যদেরও এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
কর্মশালায় প্রথম পর্বে জুমে সংযুক্ত হয়ে স্বাগত বক্তব্যে হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ বলেন – ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ হিসাবে গড়ে তুল্তে কাজ করছে বাংলাদেশ সরকার যেখানে সাংবাদিকদের ভুমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তারা যদি তাদের লেখার মাধ্যমে সাইবার নিরাপত্তা সহ সরকারী কার্যক্রমের ইতিবাচক সমালোচনা করে তা আমাদের সংশোধিত হয়ে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে পাশাপাশি ভালো কাজের প্রশংসা করে তবে তা আমাদের আরো ভালো কাজে উৎসায়িত করবে।
বিশেষ অতিথি হিসাবে ব্যক্তি পর্যায়ে নিরাপত্তা বিষয়ে বক্তব্য রেখে নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু বলেন- বর্তমানে নারী সহিংসতায় শারিরিক নির্যাতনের পাশাপাশি বেড়েছে মানসিক নির্যাতন এবয় এক্ষেত্রে সেখানে সাইবার বা অনলাইন গুরুত্ব পূর্ণ সহায়ক হিসাবে কাজ করবে। এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্বিতে সাংবাদিকদের এগিয়ে আসতে হবে । ব্যাক্তিগত নিরাপত্তার ক্ষেত্রে তিনি বলেন- নারী গণমাধ্যম কর্মীরা যেনো যে কাজেই বাইরে যান না কেন সবসময় তার ফোন নম্বর সচল রাখার পাশাপাশি প্রয়োজনে পরিবারের কোনো সদস্যের সঙ্গে লোকেশন শেয়ার করেন সেই পরামর্শ দেন।
দ্বিতীয় পর্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং ইনফরমেশন সিকিউরিটি নিয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেন সিটিও ফোরাম মহাসচিব আরফে এলাহী মানিক। এসময় তিনি উপস্থিত প্রশিক্ষণার্থীদের অনলাইনে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই করার প্রক্রিয়া সহ নিরাপত্তার অন্যান্য বিষয়ে আলোচনায় বলেন- নিরাপত্তা শুরু করতে হবে ব্যক্তি পর্যায়ে হতে- সামান্য ইমেইল বা ফেইসবুক পাসওয়ার্ড হতে শুরু করে তথ্য যাচাই বাছাই , ভুল তথ্য প্রচার, ম্যালওয়্যার চেনা ও তা থেকে সুরক্ষায় মোবাইল এবং পিসিতে ফায়ারওয়ালের ব্যবহার এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যক্তিগত তথ্য গোপন রাখার কলা-কৌশল নিয়ে কথা বলেন। নিরাপত্তা বিধানে ব্যক্তি দক্ষতা উন্নয়নে মনযোগী হবার পরামর্শ দেন তিনি। সেই সাথে বলেন -সাইবার বিশ্বে ঝুঁকি থাকবেই তাই বলে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বন্ধ না করে সতর্ক হতে হবে।