দেশের শীর্ষস্থানীয় ৫টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সেরা ১০ জন আইসিটি মেধাবী শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দিলো বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আইসিটি সল্যুশন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) গুলশানে প্রতিষ্ঠানটির কাস্টমার সল্যুশন ইনোভেশন অ্যান্ড ইন্টিগ্রেশন এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারে (সিএসআইসি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। হুয়াওয়ের সবচেয়ে বড় সিএসআর প্রোগ্রাম ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ প্রতিযোগিতার আওতায় বাছাই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এসব শিক্ষার্থীদের নাম চূড়ান্ত করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ঝাং জেংজুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের প্রধান ড. এস এম মোস্তফা আল মামুন এবং হুয়াওয়ের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
সম্প্রতি প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, সিনিয়র শিক্ষক এবং হুয়াওয়ের বিশেষজ্ঞ দলের সহায়তায় ৫টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মোট ১০ জন আইসিটি মেধাবী শিক্ষার্থীকে বাছাই করা হয়। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর এই ১০ জন শিক্ষার্থীদেরকে দুই সপ্তাহের জন্য চীনের বেইজিং ও শেনজেন-এ শিক্ষাসফরে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে তারা পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তি যেমন: ফাইভ জি, ইন্টারনেট অব থিংস (আইইউটি), ক্লাউড কম্পিউটিং, ইত্যাদি বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবে। গবেষণা ও উন্নয়নে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করে নতুন নতুন পণ্য উদ্ভাবন করে চলেছে হুয়াওয়ে। ফলে প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের প্রভাবশালী কোম্পানিতে পরিণত হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ঝাং জেংজুন আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ বিশ্বব্যাপী হুয়াওয়ের সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করা সিএসআর প্রোগ্রাম, যা ২০০৮ সাল থেকে শুরু হয়। এখনও পর্যন্ত বিশ্বের ১০৮টি দেশ ও অঞ্চলে সিডস ফর দ্য ফিউচার প্রতিযোগিতা চালু হয়েছে। ২০১৭ সাল পর্যন্ত বিশ্বের ৩৫০টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৩০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে উপকৃত হয়েছে, যাদের মধ্যে ৩ হাজার ৬০০ জন শিক্ষার্থী চীনের শেনজেন-এ হুয়াওয়ের প্রধান কার্যালয়ে শিক্ষা সফরে গিয়ে হাতে কলমে কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। এই প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য বিশ্বমানের প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য নতুন নতুন আইসিটি মেধাবীদের দক্ষতা উন্নয়নে সহায়তা করা। আমি বিশ্বাস করি, বিশ্বের চলমান আইসিটি ইন্ডাস্ট্রির সাথে মানিয়ে নিতে এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশী এই শিক্ষার্থীরা নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে ও সর্বশেষ প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে পারবে। হুয়াওয়ে বরাবরের মতোই বাংলাদেশের আইসিটি ও টেলিকম খাতের উন্নয়নে অবদান রাখবে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হুয়াওয়ে সব ধরনের সহায়তা করবে। এছাড়াও বাংলাদেশে আইসিটি অবকাঠামো তৈরি, ভার্টিক্যাল ইন্ডাস্ট্রির ডিজিটাল রূপান্তর, ভোক্তাদের বিশ্বমানের প্রযুক্তি পণ্য সরবরাহ করতে এবং আইসিটি মেধাবীদের জন্য হুয়াওয়ে প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। আমাদের সঙ্গে অংশ নেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ।’ এ সময় তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে ভিশন-২০২১ অর্জনে বাংলাদেশের আইসিটি খাতে অবদান রাখতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ ২০১৮-এর বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে চূড়ান্ত হওয়া ১০ জন শিক্ষার্থীরা হলেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সারাহ সিনথিয়া গোমেজ ও মো. রাকিব রহমান শাওন, ইসলামিক ইনউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি) থেকে আসিফ নেওয়াজ ও বখতিয়ার হাসান, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) থেকে নুজহাত নাওয়ার ও মো. রাকিবুল হাসান, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) থেকে আফসানা আফরিন ও মো. আজমাইন ইয়াকিন সৃজন এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) থেকে দিবা দাস ও মনিরুল ইসলাম মিশকাত।