করপোরেট

সিসকো বাংলাদেশে কি সুবিধা দিচ্ছে?

By Baadshah

May 24, 2018

দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের ব্যসায়ীদের ডিজিটাল সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করছে সিসকো। দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের (এসএমবি) ডিজিটাল ভিত্তি তৈরি করার মাধ্যমে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ উপযোগি করার উদ্যোগ নিয়েছে প্রযুক্তি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সিসকো। -’র কার্যক্রম শুরুর সময় ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপান্তরে অংশগ্রণের যে প্রতিশ্রুতি প্রতিষ্ঠানটি দিয়েছির, এটি তারই অংশ বলে জানিযেছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা। এ উদ্যোগের মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, বিশ্বমানের উদ্ভাবন, টেকসই প্রতিযোগিতা তৈরি ক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশনের ভূমিকা তুলে ধরা হয়েছে। একটি দেশের ডিজটালাইজেশনের উদ্দেশ্য হলো -মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান তৈরি, উদ্ভাবনী উৎসাহ প্রদান করা। একই সাথে গবেষণা, শিক্ষা, উদ্যোক্তা তৈরি, নতুন ব্যবসায় গতিশীলতা, অর্থনৈতিক উদ্যোগ ও স্থায়ী অবকাঠামো উন্নয়ন অন্যতম। আধুনিক স্থাপত্য ও বৃহত্তর যোগাযোগের জন্য আইটি নেটওয়ার্কের ভাবনাকে এগিয়ে নেওয়া, উৎপাদনশীলতা ও নিরাপত্তা মাধ্যমে দেশেকে নতুন একটি ডিজিটাল হাবে রূপান্তরে কাজ করে যাচ্ছে সিসকো। জিডিপি বৃদ্ধি, নতুন কর্মসংস্থান তৈরী, ভবিষ্যৎ কর্মক্ষেত্রকে শক্তিশালী করা, স্মার্ট শহর নির্মাণ করার মাধ্যমে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য উন্নত জীবনযাত্রার সুযোগ সৃষ্টি করতে সরকার ও ব্যবসায়ীদের সাথে যৌথভাবে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। উচ্চ গতির ব্রডব্যান্ড কভারেজ, মোবাইল ডিভাইসের ক্রমবর্ধনমান বৃদ্ধি, গুণগত যোগাযোগ ব্যবস্থার মানোন্নায় এবং সেইসাথে সরবরাহ সেবা ও নেটওয়ার্ক স¤প্রসারণের মাধ্যমে বাংলাদেশে ব্যবসায়ীদের জন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে । ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা (এসএমবি)’কে বাংলাদেশের একটি সমৃদ্ধ শিল্প হিসেবেই মনে করে সিসকো, যা বাংলাদেশের ডিজিটাইজেশনে গতি আনবে এবং অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতা ও কর্মসংস্থানের জন্য প্রচুর সুযোগ সৃষ্টি করবে। বাংলাদেশে এসএমই’র ৯৯ শতাংশর বেশি বেসরকারি সেক্টর শিল্প প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালিত এবং ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ কৃষিকাজের বাইরের শ্রমিক, যা শিল্পের এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি শিল্পমূল্য প্রদান করে মোট (জিডিপি)তে। ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে অগ্রগতির দিকে বাংলাদেশ, আর সেখানে দেশের ডিজিটাল রূপান্তর যাত্রা অপরিহার্য একটি উপাদান হলো ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা (এসএমবি)। এসএমবি ও মিডমার্কেট গ্রাহকদের জন্য সহজ, নিরাপদ এবং স্মার্ট এন্টারপ্রাইজ প্রযুক্তির সাথে খাপ খাইয়ে উপযুক্ত ডিজিটাইজেশন পরিবেশ তৈরী করাই হলো সিসকো’র লক্ষ্য- এ জন্য তৈরি করেছে সিসকো নেটওয়ার্কিং একাডেমি। এর মাধ্যমে প্রশিক্ষিত পেশাদারদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও বাংলাদেশের দক্ষতা উন্নয়নে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের জন্য করা প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে সিসকো দেশে ১২ টি নেটওয়ার্কিং অ্যাকাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছে। এতে এ পর্যন্ত ১২ হাজার ৩শ’র বেশি শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে। গ্লোবাল ইকোনোমির পরিবর্তনের জন্য ১৯৯৭ থেকে বিশ্বব্যাপী ৮০ লাখেরও বেশি মানুষ নেটওয়ার্কিং অ্যাকাডেমিতে যোগ দিয়েছে। সিসকোর উদ্বোধনকালে সিসকো ইন্ডিয়া অ্যান্ড সার্কের প্রেসিডেন্ট সমীর গার্দে বলেন,“বাংলাদেশে সিসকোর পথচলা প্রায় দুই দশকেরও বেশি। সময়ের সাথে এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাজার হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের ডিজিটাল যাত্রার অংশ হতে পেরে আমরা অত্যন্ত খুশি। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, বিশ্বমানের উদ্ভাবন, টেকসই প্রতিযোগিতা ও সমৃদ্ধি অর্জনে সরকারকে আরো সাহায্য করবে সিসকো। সিসকোর দেওয়া প্রতিশ্রæতি বাংলাদেশের এসএমবি’র মাধ্যমে ডিজিটাল যাত্রাকে আরো তরান্বিত করবে।” তিনি বলেন,“ এসএমই’র উন্নয়ন ডিজিটাল যাত্রাকে সত্যিই গতিশীল করবে, যা মূলত বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড। সিসকোর যাত্রার মাধ্যমে এখন থেকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা (এসএমবি) ডিজিটাল প্রযুক্তি অ্যাকসেস করছে, যার ফলে এই ডিজিটাল যুগে তাদের ব্যবসাকে আরো নিরাপদে রাখতে পারছে। আমরা আশা করি বাংলাদেশ তার ডিজিটাল রূপান্তরের যাত্রার দিকে এগিয়ে যাক এবং এখনকার সব সুযোগগুলো গ্রহণ করুক। ’’