ইভেন্ট

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সাথে আরএমজি টাইমস’র ঈদের আনন্দ উপভোগ

By Editor

May 26, 2019

রাজধানীসহ সারা বাংলাদেশে কয়েক লাখ শিশু রয়েছে পথেই যাদের জন্ম। ঠিকানা-অভিভাবকহীন এসব শিশু ক্ষুধার জ্বালায় পা বাড়ায় অজানার পথে। রাস্তাঘাট, রেলওয়ে স্ট্রেশন, বাস টার্মিনাল, অফিস চত্ত্বর, পার্ক অথবা খোলা আকাশের নিচে ঠাই হয় এদের। ন্যূনতম মৌলিক চাহিদা পুরণের সামর্থ এদের নেই। নতুন পোশাক, ভালো খাবার এদের জন্য প্রায় দুঃস্বপ্ন। ঈদের সময়ও এদের ভাগ্যে জুটে না একটা নতুন জামাও। তাই ঈদের ষোল আনা আনন্দ এসব সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া ও ভাগাভাগি করে নেয়ার প্রয়াস নিয়ে দি আরএমজি টাইমস, তুরস্ক ভিত্তিক অডিট কোম্পানী ইউএসবি এশিয়া ও জার্মানী ভিত্তিক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ডেলটেক্স জিএমবিএইচ বাংলাদেশ এর পৃষ্ঠপোষকতায় “স্বপ্ন পাঠশালা” পঞ্চমবারের মত আয়োজন করলো “আরএমজি টাইমস ঈদ আনন্দ”র সিজন-৫।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এই আয়োজনে শতাধিক পথশিশুদের মাঝে বিতরণ করা হয় নতুন জামা-কাপড়, দুধ, চিনি, সেমাইসহ ঈদের প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী। এসময় নতুন জামা পেয়ে এসব কচি চোখে মুখে ছিল আনন্দের ঝিলিক।

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদের নতুন পোশাক বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন দি আরএমজি টাইমসের সম্পাদক আব্দুল আলিম, ইউএসবি এশিয়ার কান্ট্রি ম্যানেজার জনাব হাসনাত কবির ও ডেলটেক্স জিএমবিএইচ এর সিনিয়র অডিটর জনাব আসিফুর রহমান আরএমজি টাইমসের সম্পাদক আব্দুল আলিম বলেন, আমাদের দেশে অসংখ্য সুবিধা বঞ্চিত পথশিশু হয়েছে। এদের মধ্যে অল্প কিছু শিশুদের মাঝে নতুন পোশাক বিতরণ হয়তো উল্লেখ্যযোগ্য কিছু নয়। তবুও আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করেছি এসব ছিন্নমুল শিশুদের মুখে হাসি ফোঁটাতে। আমরা সবাই যদি নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবহেলিত এসব শিশুদের পাশে এসে দাড়াই তাহলে হয়তো সকলের মুখেই হাসি ফোঁটানো সম্ভব হবে।

তিনি “স্বপ্ন পাঠশালা”র তরুণদের উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, দেশে বিত্তবানের অভাব নেই। তারা একটু উদারতা ও মানবিকতার পরিচয় দিলেই ছিন্নমূল এই শিশুদের চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। একদল কিশোর তরুণের এই মহথি উদ্যোগ সত্যিই ভালোবাসা ও প্রশংসা কুড়ানোর যোগ্য। তাদের আপ্রাণ চেষ্টায় এদের মধ্যে অনেক শিশুই আজ সুশিক্ষা পাচ্ছে, আজকে শুনলাম সপ্তম শ্রেণীতে একজন প্রথম স্থান অধিকার করেছে; আত্মতৃপ্তি পেয়েছি।

এসময় আরএমজি টাইমস পরিবার ‘স্বপ্ন পাঠশালা’র যেকোনো উদ্যোগে পাশে থাকবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।