প্রযুক্তি খবর

সূর্যের তাপ কমাবে কৃত্রিম মেঘ!

By Baadshah

April 07, 2018

অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যি এবার সূর্যরশ্মি আটকে দিতে চাচ্ছেন শিল্পোন্নত দেশের বিজ্ঞানীরা। কৃত্রিম মেঘ সৃষ্টি করে তা ঊর্ধ্বাকাশে ছেড়ে দিতে চান তাঁরা। তাতে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বাড়তে থাকা পৃথিবীর তাপমাত্রা দ্রুত কমে যাবে বলে দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা। বিশ্বের কয়েকটি ধনী দেশে এই গবেষণা শুরু হয়েছে। হার্ভার্ড, কেমব্রিজ, এমআইটি, অক্সফোর্ডসহ বিশ্বের শীর্ষ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ‘সোলার জিও ইঞ্জিনিয়ারিং’ শীর্ষক এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিচ্ছে।

বাংলাদেশ, ভারত, ব্রাজিল, চীন, ইথিওপিয়া, জ্যামাইকা, নিউজিল্যান্ড, কেনিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ডের ১১ জন এবং যুক্তরাজ্যভিত্তিক এসআরএম গভর্ন্যান্স ইনস্টিটিউটের এক বিজ্ঞানী যৌথভাবে নেচার সাময়িকীতে প্রতিবেদনটি লিখেছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়িত হলেও এই শতকের মধ্যে পৃথিবীর তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে। বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে তাঁরা এ ধরনের প্রযুক্তির কথা ভাবছেন।

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, আগ্নেয়গিরির অগ্নু্যৎপাতের সময় যেভাবে ছাইয়ের আস্ত্মরণ বায়ুম-লে ছড়িয়ে সূর্যকে আড়াল করে দেয়, সেই প্রক্রিয়ার নিয়ম মেনেই জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকানোর উপায় বের করা হচ্ছে। তবে আগ্নেয়গিরির ছাই বায়ুম-লে যতদূর ওঠে, তারও অনেক ওপরে উঠে কৃত্রিম মেঘ তৈরির উপাদান ছড়ানো হবে। ফলে ওই আস্ত্মরণ কয়েক বছর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

কৃত্রিমভাবে জলবায়ু তৈরির ফলে বিশ্বের কিছু কিছু অঞ্চলে অস্বাভাবিক বন্যা, খরা বা অতিবৃষ্টি বা অনাবৃষ্টি দেখা দিতে পারে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করছেন অনেকেই।

জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে জাতিসংঘের একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল অবশ্য সোলার জিও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কার্যকারিতা এবং পরিণাম নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। জাতিসংঘের আন্তসরকার জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত প্যানেলের (আইপিসিসি) প্রধান বিজ্ঞানী ও ব্রাজিলের সাও পাওলো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পাওলো আর্টাক্সো বলেন, ‘সোলার জিও ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তি নিরাপদ কি না, তা নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। কার্বন নিঃসরণ কমানোর যেকোনো আগ্রাসী উদ্যোগের প্রতি আমার সমর্থন আছে। কিন্তু ওই প্রযুক্তির ব্যবহার উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য কী অর্থ বয়ে আনবে, তা আমরা এখনো জানি না। ফলে আমাদের তা জানাতে হবে।’