আমাদের দেশে স্টার্টআপ সংস্কৃতির শুরু খুব বেশি দিনের না। আধুনিক ছেলেমেয়েরা নিজেদের অদম্য ইচ্ছে শক্তিকে ডিজিটাল রূপ দিবে এটাই স্বাভাবিক। আর এই ডিজিটাল ফরম্যাটে স্বপ্ন পূরণের নাম স্টার্টআপ।অফিস নেই, পুঁজিও নেই। সম্বল শুধু আইডিয়া আর একটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটার। এতে ভর করেই বাসা-বাড়িতে নেওয়া হয়েছে বিশেষ কোনও উদ্যোগ। আর সেসব উদ্যোগ বা স্টার্টআপই এখন দেশের গর্ব। দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও এর শক্ত অবস্থান। সরকারী বা বেসরকারী ভাবে আমাদের দেশে স্টার্টআপ ফান্ডিং বা আর্থিক সহায়তা বেশ চোখে পড়ার মতো। সরকারের আই সি টি মন্ত্রণালয়ের অধীনে আছে স্টার্টআপ এর জন্য আলাদা সুযোগ-সুবিধা। টেলিকম কোম্পানি গ্রামীনফোন, রবি এরা সবাই নিজেদের ব্রান্ডের মাধ্যমে সহযোগিতা করছে এই সব তরুণ উদ্যোক্তাদের।
তবে এবার স্টার্টআপ উদ্যোগকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সরকারও পাশে দাঁড়াচ্ছে। দেশে উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম এবং উদ্যোক্তাবান্ধব সংস্কৃতি গড়ে তুলতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতায় ‘উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি’ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে স্টার্টআপে বিনিয়োগ করবে সরকার। সম্প্রতি এই প্রকল্পটির পরিচালক মো. আলী আহসানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই প্রকল্পের অধীনে স্টার্টআপ ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট, কনভাটিবল ডেবট অথবা অনুদান আকারে আর্থিক সহায়তা প্রদান করার মাধ্যমে ২০০টি উদ্ভাবনী আইসিটি পণ্য বা সেবা ডেভেলপ করা হবে। এ ছাড়াও একটি উদ্ভাবন এবং উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমির মাধ্যমে মেন্টরিং, কো-ওয়ার্কিং স্পেস, বিজনেস ডেভলপমেন্ট সাপোর্ট, লিগ্যাল ও ইনটিলেকচুয়াল প্রপার্টি সাপোর্ট দেওয়া হবে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত দক্ষ ব্যবসায়ী, শিক্ষাবিদ, স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের মধ্য হতে মেন্টর নির্বাচন করা হবে।
এই প্রকল্পের আওতায় প্রি-সিড পর্যায়ের আইডিয়ার জন্য অনুদান হিসেবে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা অর্থায়ন করা হবে। সিড পর্যায়ে সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা, গ্রোথ পর্যায়ে সর্বোচ্চ পাঁচ কোটি, গাইডেড পর্যায়ে সর্বোচ্চ পাঁচ কোটি, টার্গেটেড ইনভেস্টমেন্ট, স্ট্র্যাটিজিক পার্টনারশিপ ও কো-ইনভেস্টমেন্ট পর্যায়ে প্রয়োজন মাফিক বিনিয়োগ করা হবে।
বিনিয়োগের ক্ষেত্রগুলো হলো- স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, ওষুধ, উৎপাদন, আর্থিক সেবা, পরিবেশ, পর্যটন, মিডিয়া ও বিনোদন, ই-গভর্নমেন্ট বা এম-গভর্নমেন্ট, ই-কমার্স, পরিবহন, অবকাঠামো, জৈব-প্রযুক্তি, রোবটিক্স ও সেমিকন্ডাক্টর, ন্যানোটেক বা আইওটি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রাপ্ত প্রস্তাবগুলো ব্যবসায়ের ধারণা, সম্ভাব্যতা, কৌশল (ব্যবসায়, প্রযুক্তিগত, আর্থিক) বাস্তবায়ন পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা টিম ইত্যাদি মানদণ্ডের ভিত্তিতে অর্থায়নের জন্য প্রাথমিক নির্বাচন করা হবে। এরপর প্রেজেন্টেশন, ডিউ ডিলিজেন্স ও সিলেকশন কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে কেবল সুনির্দিষ্ট মাইলফলক অর্জন সাপেক্ষে এক বা একাধিক কিস্তিতে অর্থ ছাড় করা হবে। নির্বাচিত স্টার্টআপগুলোকে প্রকল্পের তত্ত্বাবধানে নিয়মিত রিপোর্টিং ও মনিটরিং কার্যক্রমে অংশ নিতে হবে।
বিস্তারিত জানতে এই লিঙ্কে ভিজিট করতে পারেন।