ইভেন্ট

“স্টার্টআপ কিংডম”: আগামীর উদ্যোক্তাদের পথ চলার বিস্তৃত দিকনির্দেশিকা

By Baadshah

July 17, 2021

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের উল্লেখযোগ্য স্টার্টআপগুলোর সাফল্য ও ব্যর্থতা থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে বাংলাদেশের তরুণরাও হতে পারে সফল উদ্যোক্তা। ‘স্টার্টআপ কিংডম’ বইয়ের সহ-লেখক, পেগাসাস টেক ভেঞ্চার্স এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও আনিস উজ্জামান এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড প্রাইভেট ইক্যুইটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ভিসিপিয়াব) এর সভাপতি ও পেগাসাস টেক ভেঞ্চার্স এর জেনারেল পার্টনার শামীম আহসান এমনটাই বলেন গত মঙ্গলবার ইয়ং-এর উদ্যোগে আয়োজিত “কীভাবে বিলিয়ন ডলারের স্টার্টআপ তৈরি করা যায়” শীর্ষক ওয়েবিনারে। উক্ত অনুষ্ঠানে লেখকরা তাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা ভাগাভাগির পাশাপাশি একটি সফল স্টার্টআপ গড়ে তোলার পেছনের মূল উপাদানগুলি নিয়ে আলোচনা করেন। এই ওয়েবিনারে প্রায় কয়েক’শ উচ্চাকাঙ্ক্ষী উদ্যোক্তা যোগদান করেন যেখানে আনিস উজ্জামান অনুষ্ঠানের মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন এবং ইয়ং এর চিফ ডেভেলপমেন্ট ও পার্টনারশিপ অফিসার সানজিদা রশীদ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। আলোচনায় লেখকরা কোনও স্টার্টআপের শুরু ও সাফল্যের পেছনে ছয়টি বিষয়ের উপর জোর দেন: একটি টিম তৈরি করা, একটি পণ্য তৈরি করা, পেটেন্টের মাধ্যমে মালিকানা রক্ষা করা, দেশীয় এবং বৈশ্বিক ব্যবহারকারীদের জন্য বিপণন, ফান্ডিং পাবার কৌশল এবং ‘এক্সিট’ কৌশল। সফল স্টার্টআপগুলি কীভাবে এই ছয়টি মূল বিষয়ে কৌশল নির্ধারণ করে তা তারা পর্যবেক্ষণ করে বাস্তব উদাহরণের সন্নিবেশে নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য দিকনির্দেশনা হিসেবে বইটিতে তুলে ধরেছেন। আনিস উজ্জামান, পেগাসাস টেক ভেঞ্চার্স এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ‘স্টার্টআপ কিংডম’-এর সহ-লেখক বলেন, “আমি প্রতিবছর শত শত স্টার্টআপের সাথে কথা বলি ও দিকনির্দেশনা দিই। আমি তাদের সফলতা ও ব্যর্থতা দেখেছি এবং এই বইয়ে সেসব অভিজ্ঞতাকে তুলে ধরেছি। আমি নিজেই বেশকিছু স্টার্টআপ গড়ে তুলেছি এবং অবশ্যই আমার সফলতা ও ব্যর্থতা থেকেও শিখতে পেরেছি। এই বইটিতে সেসব কিছুর প্রতিফলন ঘটেছে। আশা করছি বইটি উদ্যোক্তা এবং উদ্ভাবক যারা আগামীতে নিজেকে চ্যালেঞ্জ করতে চান তাদের মৌলিক জ্ঞানের উৎস হবে।” ভিসিপিএবির সভাপতি ও ‘স্টার্টআপ কিংডম’-এর সহ-লেখক শামীম আহসান বলেন, “স্টার্টআপ কিংডম বইটি উদ্যোক্তাদের নিজস্ব ব্যবসায় পরিকল্পনা তৈরি করতে এবং সহজ ও দ্রুততম উপায়ে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সঠিক কৌশল গ্রহণে সহায়তার জন্য লেখা হয়েছে। আমরা লেখকদ্বয় ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট এবং অ্যাঞ্জেল বিনিয়োগকারী হিসেবে আমাদের অভিজ্ঞতাকে তুলে ধরেছি এবং দক্ষিণ এশিয়া ও গ্লোবাল স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠাতাদের জন্য একটি বিস্তৃত হ্যান্ডবুক হিসেবে রূপ দেবার চেষ্টা করেছি।” ইয়ং এর প্রতিষ্ঠাতা, সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুসলিম উদ্দিন বাপ্পি বলেন, “আমরা তরুণদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি করে একটি উদ্ভাবনী সমাজ গঠনের উদ্দেশ্যে কাজ করছি। আমরা আমাদের তরুণ উদ্যোক্তাদের অনুপ্রাণিত করছি যেন তার বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসে এবং ‘স্টার্টআপ কিংডম’ তাদের জন্য একটি দিকনির্দেশক হতে পারে।” ‘স্টার্টআপ কিংডম’-এর লেখকদের প্রায় ১.৭ বিলিয়ন ডলারের ভেঞ্চার ক্যাপিটাল তহবিল পরিচালনার এবং ১৫টি দেশে ২০০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে যার মধ্যে স্পেসএক্স, এয়ারবিএনবি, কয়েনবেজ, ডোরড্যাশ, ২৩-এন্ড-মি উল্লেখযোগ্য। বিশ্বব্যাপী শত শত স্টার্টআপ নিয়ে তিন বছর ধরে ব্যাপক গবেষণার পর তারা বইটি উদ্যোক্তাদের জন্য প্রয়োজনীয় গাইড হিসাবে প্রকাশ করেছেন। ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড বইটির প্রকাশক এবং তারা স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে এটি বিতরণ করছে। বইটি www.rokomari.com/startupkingdom এ পাওয়া যাবে।