তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশের গল্প তুলে ধরার লক্ষ্যে ডেটা বিশেষজ্ঞ ও ডেভেলপারদের একসঙ্গে নিয়ে এসেছে প্রেনিউর ল্যাব এবং ফেসবুক ডাটা ফর গুড। বুয়েট ডেটা ল্যাব, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি কম্পিউটার ল্যাব, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি রোবোটিক্স ক্লাব, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ফ্যাব ল্যাব সহ দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় এই উদ্যোগে সহায়তা করেছে।
স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষে আয়োজিত বাংলাদেশ অ্যানালিটিকিস ল্যাব শীর্ষক এই বুট ক্যাম্প অংশগ্রহণকারীদের বাংলাদেশের গল্প বিশ্লেষণ ও ভিজুয়ালাইজেশন তুলে ধরার সুযোগ করে দেবে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য হচ্ছে, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার বিভিন্ন ইস্যু, যেমন নারী-পুরুষ সমতা, দারিদ্র্য হ্রাস ও দুর্যোগ মোকাবিলার তথ্যভিত্তিক সমাধানে উৎসাহিত করা।
এই কর্মসূচির ভার্চ্যুয়াল উদ্বোধনে ফেসবুকের ডাটা ফর গুড প্রোগ্রামের পাবলিক পলিসি অ্যাসোসিয়েট রিসার্চ ম্যানেজার ওমারি সেফু গণ-পরিসরে সহজলভ্য ডাটার ওপর একটি প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন। তিনি বলেন, ‘ফেসবুকের ডাটা ফর গুড প্রোগ্রামের লক্ষ্য হচ্ছে পাবলিক ডাটা ব্যবহার করে বিশ্বের বড় বড় সমস্যার সমাধানে সহায়তা করা। বাংলাদেশের তরুণ গবেষক ও ডেভেলপাররা ডাটা মডেলিংয়ের মাধ্যমে বাস্তব জীবনের সমস্যা ও সমাধান তুলে ধরতে শিখবে, সেই লক্ষ্যেই আমরা প্রেনিউর ল্যাব এবং বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়েরসঙ্গে কাজ করছি।’
আগামী ১০ সপ্তাহের এই প্রশিক্ষণে কোডিং ও ডিজাইনিংয়ের অধিবেশন থাকবে, যাতে অংশগ্রহণকারীরা সমস্যা সমাধান, ভিজ্যুয়ালাইজেশন ও তথ্যভিত্তিক মডেলিংয়ের বিভিন্ন ধাপ সম্পর্কে শিখতে পারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা এতে ট্রেনিং দিবেন।
এই বুট ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস আলি বাংলাদেশের বিভিন্ন ডাটা প্রকল্প নিয়ে সামগ্রিক ধারণা দেন। আরও বক্তব্য দেন প্রেনিউর ল্যাবের ট্রাস্টি আরিফ নিজামী।
নিজামী বলেন, ‘গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের অভাবনীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে। এই বুটক্যাম্পের মাধ্যমে আমরা উদ্ভাবনী পদ্ধতিতে এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রার ভিজ্যুয়ালাইজেশন করতে চাই, অর্থাৎ মানুষের কাছে তার ছবি তুলে ধরতে চাই। ফেসবুকের ডাটা ফর গুড প্রোগ্রামের অভিজ্ঞতা ও উৎকর্ষের সঙ্গে দেশের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সম্পৃক্ততা অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন ধরনের ডাটা মডেলিং করা আর দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে ভাবার সুযোগ করে দেবে।’
এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা নীতিনির্ধারক ও উন্নয়ন বিশেষজ্ঞদের কাছে তাঁদের কাজ তুলে ধরার সুযোগ পাবেন। মে মাসে ডেমো ডের মধ্য দিয়ে এই আয়োজন শেষ হবে এবং সে মডেলগুলো একটি মাইক্রোসাইটে প্রদর্শিত হবে।