ট্রেন্ডিং

স্মরণকালের সর্বোচ্চ উত্তপ্ত বছর ২০১৮ সাল, আগামী চার বছরেও পৃথিবীজুড়ে প্রচণ্ড গরম পড়বে

By Baadshah

August 15, 2018

দক্ষিণ এশিয়ায় দেশগুলোতে গ্রীষ্মে গরমের মাত্রা বেড়েই চলেছে৷ সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ২১০০ সালের শেষ নাগাদ আর্দ্র গরম এতটাই চরমে উঠবে যে মানুষের বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে৷

সারা পৃথিবীজুড়েই প্রচণ্ড গরম পড়েছে, এমনকি কিছু কিছু স্থানে তাপপ্রবাহও চলছে। প্রচণ্ড উত্তাপে দাবানল লেগে গেছে কিছু এলাকায়। বছর ঘুরে আবারও গ্রীষ্ম আসবে এবং এমনই অস্বাভাবিক গরম তাপমাত্রা সহ্য করতে হবে আবারও। গবেষকরা জানিয়েছেন, আগামী চার বছরেও প্রচণ্ড গরম পড়বে সারা পৃথিবীজুড়ে।

নেচার কমিউনিকেশনস জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় বলা হয়, এই গরম আবহাওয়ার কারণে বিষুবীয় অঞ্চলে বেশি বেশি ঝড় হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সেন্টার অব সায়েন্টিফিক রিসার্চের গবেষকরা সারা বিশ্বের আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য প্রোবাবিলিটি ফোরকাস্ট, সংক্ষেপে প্রোকাস্ট নামের একটি নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। 

স্মরণকালের সর্বোচ্চ উত্তপ্ত বছরগুলোর মাঝে একটি হলো ২০১৮ সাল। ছবি: সংগৃহীত

দেখা যায়, ১৯৯৮ থেকে ২০১৩ সালের মাঝে সারা পৃথিবীতে তাপমাত্রা তেমন বাড়ে বা কমেনি, একই রকম ছিল। কিন্তু বর্তমানে তা আবার বাড়া শুরু করেছে এবং আগামী চার বছর এমনকি আরও বেশি সময় বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি  অব্যাহত থাকবে। ২০১৮ থেকে ২০১৯ সালের মাঝে প্রচণ্ড শীতের ঘটনা যেমন তুষারঝড় এবং শৈত্যপ্রবাহের ঘটনাও কমে যাবে। প্রোকাস্ট ব্যবহার করে বর্তমানে শুধু তাপমাত্রার ওঠানামার পূর্বাভাস দেওয়া যায়। তবে গবেষকরা আশা করছেন, তা ব্যবহার করে ভবিষ্যতে বৃষ্টিপাত, খরা এমনকি ঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়া যাবে।

দক্ষিণ এশিয়ায় বিশ্বের এক পঞ্চমাংশ মানুষের বাস৷ জার্নাল সায়েন্স অ্যাডভান্স তাদের নতুন প্রতিবেদনে ভয়াবহ দাবদাহ সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়ে বলছে, গ্রীষ্মের তাপপ্রবাহ যদি এমন রূপ ধারণ করে, যেখানে তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা অনেক বেশি হয়, সেসময় কোনো সুরক্ষা ছাড়া মানুষের বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে যাবে৷

সূত্র: আইএফএলসায়েন্স