একটি দেশের আধুনিকায়ন রাজধানীতে সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হয়। পর্যায়ক্রমে দেশের অন্যান্য শহর, জেলা, উপজেলা, গ্রাম এবং ইউনিয়নে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগে। বদলে যায় দেশের সার্বিক পরিস্থিতি। তবে বর্তমান সরকার শুধু রাজধানীকেই নয়, দেশের প্রতিটি শহরকে ডিজিটাল করার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। স্মার্ট সিটিতেই আমরা সন্তুষ্ট নই, দেশের প্রতিটি শহর ডিজিটাল হবে এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।
আজ রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ বিসিএস ইনোভেশন সেন্টারে ভিয়েতনামে অনুষ্ঠিত ‘এসোসিও স্মার্ট সিটি সামিট ২০১৮’ অংশগ্রহণ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু।
তিনি বলেন, এসোসিও স্মার্ট সিটি সামিট ২০১৮ সম্মেলনের মেয়র’স টক সেশনে আমিও একজন প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশগ্রহণ করেছি। সুইডেন অনেক বছর যাবৎ ভিয়েতনামকে সহযোগিতা করছে। সুইডেনের রাষ্ট্রদূত পেরেরিক হোগবার ভিয়েতনামের হ্যানয় শহরকে স্মার্ট সিটিতে রুপান্তর করার জন্য সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন। ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য শহরের বর্তমান অবস্থা আমি বর্ণনা করেছি। আমাদের শহরগুলো দ্রুত বদলে যাচ্ছে। একটা সময় সাধারণ মানুষের যাতায়াতের জন্য যানবাহন একটি উল্লেখযোগ্য সমস্যা ছিল। এখন প্রযুক্তির কল্যাণে যানবাহন ব্যবস্থাপনা আধুনিক হয়েছে। ডিজিটাল নাম্বার প্লেট, শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে সিসিটিভি স্থাপন, সৌর বিদ্যুতের সাহায্যে স্ট্রিট লাইট, ডিজিটাল ব্যানারে শহরের সৌন্দর্য্য বর্ধনসহ আধুনিক অবকাঠামোর মাধ্যমে শহরের জীবন অনেক সহজ হয়েছে।
ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ওয়াহিদুল হাসান মিল্টন বলেন, রাজধানীকে স্মার্ট সিটি হিসেবে ঘোষণার ক্ষেত্রে আমরা অগ্রগামী। আজ থেকে পাঁচ বছর আগেও যে ব্যাপারগুলো অকল্পনীয় ছিল, তাই এখন ঢাকা শহরে দৃশ্যমান। যাত্রাবাড়ি ফ্লাইওভার, হাতিরঝিল প্রকল্প, কুড়িল ফ্লাইওভার, জিল্লুর রহমান উড়াল সড়কসহ সারাদেশে ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধিসহ কভারেজ দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে প্রবেশ করিয়েছে। এই সামিটে আমরা আমাদের সক্ষমতাগুলোকে বহির্বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছি। উন্নত দেশে শহরগুলোকে স্মার্ট করার জন্য যে প্রকল্পগুলো তারা হাতে নিয়েছে, সে সম্পর্কে সম্যক ধারণা অর্জন করেছি। আশা করা যায়, স্মার্ট সিটি বিনির্মাণে এই অভিজ্ঞতাগুলো কাজে দিবে।
বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি ইঞ্জি. সুব্রত সরকার বলেন, স্মার্ট সিটি সামিটে অংশগ্রহণ করতে পেরে আমরা আনন্দিত। বিশেষ করে আমাদের সম্মানিত মেয়র প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশগ্রহণ করায় বাংলাদেশকে উপস্থাপন করা আমাদের জন্য সহজ হয়েছে। এছাড়াও সাইবারজায়া মালয়েশিয়া এর উদ্ভাবন ও বাণিজ্যবিষয়ক প্রধান রিচার্ড কার বাংলাদেশকে স্মার্ট সিটি প্রতিষ্ঠার জন্য সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। আমাদের প্রত্যাশা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ স্মার্ট সিটিগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের শহরের নাম।
সংবাদ সম্মেলনে বিসিএস সহ-সভাপতি ইউসুফ আলী শামীম, মহাসচিব মোশারফ হোসেন সুমন, কোষাধ্যক্ষ মো. জাবেদুর রহমান শাহীন, পরিচালক মো. আছাব উল্লাহ্ খান জুয়েল, পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বিসিএস ময়মনসিংহ শাখার চেয়ারম্যান শওকত সারোয়ার হোসেন বুলবুলসহ আইসিটি সাংবাদিক বৃন্দ ও বিসিএস এর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।