টেক ফ্যাশন

স্মার্ট কার প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে হুয়াওয়ে, বাংলাদেশে কি কাজে লাগবে?

By Baadshah

March 29, 2018

বিশ্বের অন্যতম তথ্যপ্রযুক্তি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়েস্মার্ট কার প্রযুক্তি নিয়ে কাজ শুরু করেছে। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি ভোডাফোন জার্মানি এবং বোস (গাড়ির আধুনিক যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান) এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। ফলে হুয়াওয়ে এখন থেকে প্রতিষ্ঠান দুটির সঙ্গে সেলুলার ভেহিকল টু এভরিথিংস (C-V2X R14) তৈরিতে প্রযুক্তি সেবা দেবে। বিশেষ করে চালকদের সহায়তাকারী বোসের অ্যাডাপটিভ ক্রুজ কন্ট্রোল (এসিসি) নিয়ে কাজ করবে হুয়াওয়ে। C-V2X এবং ACC প্রযুক্তির সমন্বয়ে তৈরি স্মার্ট কার গ্রাহকদের আরও বেশি দক্ষ ও নিরাপদ সেবা দেবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। যেসব গাড়িতে C-V2X প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে সেসব গাড়ির সঙ্গে আশপাশের অন্যান্য গাড়ি স্বয়ংক্রিয়ভাবে যোগাযোগ করতে পারবে। C-V2X প্রযুক্তি মূলত রিয়েল টাইম অ্যালার্ট সিস্টেম, যা গাড়িগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপণে সহায়তা করবে এবং যদি আশপাশের গাড়ি হঠাৎ লেন পরিবর্তন করে বা ব্রেক করে তাহলে সেটা অন্য গাড়ির যাত্রীদের আগেই সতর্ক করে দেবে। ফলে এটা শুধু চালক বা যাত্রীদের সতর্কই করবে না বরং স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রয়োজন অনুযায়ী গাড়ির গতি বাড়াতে বা কমাতে সহায়তা করবে। হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) লিওন শিয়া বলেন, ‘ডিজিটাল রূপান্তরে গ্রাহকদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় হুয়াওয়ে সব সময় উদ্ভাবনী এবং শীর্ষস্থানীয় তথ্য প্রযুক্তি সম্বলিত হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার পণ্য সরবরাহের চেষ্টা করে। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের জন্য স্মার্টকার প্রযুক্তি একটি বড় সুযোগ। কারণ বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পদার্পণ করেছে। ফলে মানুষেরক্রয়ক্ষমতাও এখন অনেক বেড়েছে এবং অনেক মানুষের ব্যক্তিগত গাড়ি আছে। এখন গাড়িগুলোতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা প্রয়োজন।’ এই নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার স্মার্ট কার তৈরি এবং চালকবিহীন গাড়ি চলাচলের স্বপ্ন বাস্তবায়নের দ্বার উন্মোচন করবে। যার চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো, সম্পূর্ণ আধুনিকভাবে সংযুক্তি একটি ট্রাফিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা। যেখানে গাড়িগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করবে এবং সরাসরি তথ্য আদান প্রদান করতে পারবে। এর ফলে চালক তার গাড়ির সামনে-পেছনে বা পাহাড়ের বাঁকে কী ঘটছে বা সেখানে কোনো গাড়ি অবস্থান করছে কিনা সে সম্পর্কে জানতে পারবে, যা চালক নিজে দেখতে পেতেন না। মোটের ওপর, এই প্রযুক্তি ব্যবহার জ্বালানি সাশ্রয় করবে এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাকে ঝামেলাবিহীন ও অধিক কার্যকর করবে।