TechJano

স্ল্যাশ গ্লোবাল ইমপ্যাক্ট এক্সিলারেটরে ফিনল্যান্ড যাচ্ছে ‘যান্ত্রীক’ ও ‘বিনো’

২৭ নভেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বর ফিনল্যান্ডের হেলসিংকিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রযুক্তি ভিত্তিক নতুন উদ্যোগ (স্টার্টআপ) নিয়ে ইউরোপের সবচেয়ে বড় আয়োজন ‘স্ল্যাশ ২০১৮ গ্লোবাল ইমপ্যাক্ট এক্সিলারেটর’। এতে বাংলাদেশ থেকে অংশ গ্রহনের জন্য ‘যান্ত্রীক’ ও ‘বিনো’ নামে দুটি উদ্যোগ কে চুড়ান্তভাবে মনোনায়ন দেওয়া হয়েছে।

সেখানে বিশ্বের বড়বড় অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে নিজেদের উদ্ভাবনী প্রকল্প তুলে ধরতে পারবেন প্রতিযোগীরা। সেখান থেকে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রকল্প পছন্দ হলে মিলতে পারে অর্থায়ন। হেলসিংকিতে তাদের ইভেন্টে অংশগ্রহণের যাবতীয় ব্যয় বহন করবে স্ল্যাশ।

বৈশ্বিকএই আয়োজনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান এমসিসি লিমিটেডের সহযোগি প্রতিষ্ঠান এম ল্যাব জানায়, স্ল্যাশ গ্লোবাল ইমপ্যাক্ট এক্সিলারেটরে অংশগ্রহনে মনোনায়নের জন্য মোট ১২৭ জন আবেদন করেছিলেন। তার মধ্যে থেকে ৪৬টি প্রতিষ্ঠানকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়। এর মধ্যে থেকে বুট ক্যাম্পসহ নানা ধরনের প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে প্রাথমিকভাবে তিনটি উদ্যোগকে বৈশ্বিক আয়োজনে প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত করা হয়। পরে সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে দুটি কে চুড়ান্ত মনোনায়ন দেওয়া হলো।

এই আয়োজন সম্পর্কে এমসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আবির বলেন, ‘আমরা স্ল্যাশ গ্লোবাল ইমপ্যাক্ট এক্সিলারেটর-২০১৮ ইভেন্টে বাংলাদেশকে তৃতীয়বারের মতো অর্ন্তভূক্ত হতে পেরে আনন্দিত। ইউরোপের সবচেয়ে বড় স্টার্ট আপ ইভেন্টে গিয়ে সমগোত্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজেদের তুলে ধরতে পারবে, পারস্পারিক মত বিনিময়ের সুযোগ পাবে অংশগ্রহনকারীরা। এছাড়া বিশ্বের বড়বড় ভেঞ্চার ক্যাপিট্যাল কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে অর্থায়ন ও পেতে পারেন। সবচেয়ে প্রভাবশালী এই ইভেন্টে বাংলাদেশি কোম্পানি গুলো এবার ও সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখবে বলে আশা করি।’

প্রসঙ্গত: এবছর ১০০টির বেশি দেশ থেকে হেলসিংকিতে ১৫ হাজার দর্শনার্থী স্ল্যাশ গ্লোবাল ইমপ্যাক্ট এক্সিলারেটরে অংশ নেবে। বাংলাদেশ থেকে ২০১৬ সালে ‘এরএক্স৭১ লিমিটেড’ এবং ‘টেন মিনিট স্কুল’ এবং ২০১৭ সালে ‘সার্জ ইঞ্জিনিয়ারিং’ ও ‘জলপাই’ নামে দুটি উদ্ভাবনী উদ্যোগ স্ল্যাশ গ্লোবাল ইভেন্টে অংশ গ্রহণের জন্য বিজয়ী হয়েছিল।

Exit mobile version