দেশে ফার্নিচার বা আসবাব প্রস্তুতকারক হাতিল যুক্ত হল প্রযুক্তির সঙ্গে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে ফার্নিচার দেখার সুযোগ দিচ্ছে হাতিল। দেশের অন্যতম ফার্নিচার কোম্পানি হাতিল পূর্ণাঙ্গ ভার্চুয়াল শোরুম ‘হাতিল ভি’ চালু করেছে। বাণিজ্য মেলায় নিজস্ব প্যাভিলিয়নে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এবং অগমেন্টেড রিয়েলিটির মাধ্যমে গ্রাহকদেরকে পছন্দসই ফার্নিচার কেনার এই সেবা প্রদর্শন করছিল হাতিল। মূলত ফার্নিচারে ঠাসা বিশালাকৃতির শোরুমকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মধ্যে নিয়ে আসার লক্ষ্য থেকেই হাতিল এই প্রযুক্তি সেবা চালু করেছে। হাতিলের প্যাভিলিয়নে এই প্রযুক্তির উদ্বোধন করেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। অনুষ্ঠানে পলক হাতিলকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান, ফার্নিচারের মতো একটি ব্যবসায় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রাহককে অধিকতর সেবা দেওয়া এবং নিজেদের খরচ কমানোর পন্থা আবিস্কার করায়। তিনি বলেন, এভাবেই তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিদিন মানুষের ঘরে পৌঁছে গিয়ে তাদের জীবন ও মানের পরিবর্তন ঘটাচ্ছে।বিষয়টি সম্পর্কে হাতিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম এইচ রহমান সাংবাদিকদের বলেন, তাদের একেকটি শোরুম পরিচালনা করতে ভাড়া হিসেবেই মাসে অন্তত লাখ দেড়-দুয়েক টাকা খরচ হয়ে যায়। কিন্তু তারপরেও তারা তাদের সব ফার্নিচার সেখানে দেখাতে পারেন না। কিন্তু ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে নিজস্ব ৮০০ ফার্নিচারের সবই রাখা সম্ভব। এক্ষেত্রে তখন শোরুমের আকৃতি অনেক ছোট হয়ে যাবে। আর বিশাল অবকাঠামো পরিচালনার জন্যে তাদেরকে আর তখন খরচ করতে হবে না। ‘মূলত এই খরচ কমানোর পরিকল্পনা থেকেই তারা বিকল্প কিছু খুঁজছিলেন,’ বলেন সেলিম। আর এই প্রক্রিয়াতেই তারা দেশীয় একটি কোম্পানিকে দিয়ে এই প্রযুক্তিসেবার যাত্রা করলেন। বাণিজ্য মেলার প্রথম আট দিনে অন্তত চারশ লোক ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে ফার্নিচার যাচাই-বাছাইয়ের সুবিধা পেয়েছেন। আর এর মাধ্যমে ৩২ জন ক্রেতা তাদের ফার্নিচার পছন্দও করেছেন বলে জানান হাতিলের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, ভিআরের মাধ্যমে ফার্নিচার বাছাই করতে গিয়ে ক্রেতা একটি নির্দিষ্ট ফার্নিচারের রং বা কাঠ এমনকি ফেব্রিক্সের রং অথবা কাপড় বদলেও দেখতে পারেন। আবার তিনি তার ঘরের যে জায়গায় ফার্নিচারটি স্থাপন করবেন সেখানেও অগমেন্টে রিয়েলিটি মাধ্যমে স্থাপন করে দেখতে পারেন কেমন লাগছে। হাতিল বলছে, কোনো ফার্নিচার কোম্পানিতে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করে গ্রাহককে সেবা দেওয়া শুধু উপমহাদেশে নয় এশিয়াতেও প্রথম।