TechJano

হুয়াওয়ে ও টেলিকম কম্বোডিয়ার মধ্যে ফাইভজি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর

হুয়াওয়ে কম্বোডিয়া ও টেলিকম কম্বোডিয়ার মধ্যে ফাইভজি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সম্প্রতি কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্যামডেক টেকো হুন সেন এবং হুয়াওয়ে বেইজিংয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট লি জিংগে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় তাঁরা উভয়ই কম্বোডিয়ার ডিজিটাল অর্থনীতির উন্নয়ন ও ডিজিটাল রূপান্তর সম্পর্কে বিশদ আলোচনা ও মতবিনিময় করেন।

ফাইভজি’র ক্ষেত্রে কম্বোডিয়াকে সহযোগিতা করার জন্য কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন, হুয়াওয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট লি জিংগে, টেলিকম কম্বোডিয়ার চেয়ারম্যান সক পুথিভুথ এবং হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (কম্বোডিয়া) লিমিটেডের সিইও এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তি অনুযায়ী, কম্বোডিয়ার ফাইভজি অবকাঠামো উন্নয়নে একটি ভালো ইকোসিস্টেম তৈরি করতে উভয় পক্ষ একত্রে কাজ করবে এবং আশিয়ান অঞ্চলে কম্বোডিয়াকে ফাইভজিতে এগিয়ে থাকতে সহায়তা করবে।

গত ছয় মাসে সব খাতে সাফল্য অর্জনের জন্য দেশটির নতুন সরকারকে অভিনন্দন জানান লি জিংগে। দ্রুত আর্থসামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে কম্বোডিয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশের চেয়ে অর্থনৈতিক সক্ষমতায় এগিয়ে আছে।

লি এর মতে, হুয়াওয়ে ১৯৯৯ সালে কম্বোডিয়ায় তাদের কার্যক্রম শুরু করে এবং এ বছর কম্বোডিয়ায় হুয়াওয়ে তাদের ২০তম বছর পূর্ণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের দীর্ঘমেয়াদী সমর্থন ও সহায়তার জন্য হুয়াওয়ে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। কম্বোডিয়ার আইসিটি খাতের উন্নয়নের সাক্ষী ও গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হতে পেরে তিনি অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছেন। হুয়াওয়ে ডিজিটাল অর্থনীতি ও ই-পিপল এর গুরুত্ব সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর সম্যক ধারণার প্রশংসা করেন। ভবিষ্যতে হুয়াওয়ে আরো আইসিটি প্রতিভা গড়ে তুলতে ও কম্বোডিয়ার “রেক্টেঙ্গুলার স্ট্র্যাটেজি” সম্পূর্ণরূপে প্রয়োগ করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।

প্রধানমন্ত্রী হুন সেন বলেন, তিনি কম্বোডিয়ার আইসিটি উন্নয়নের জন্য বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি ইন্টারনেটকে ডিজিটাল হাইওয়ে হিসেবে তুলনা করেন। তিনি মনে করেন, কম্বোডিয়ার ইন্টারনেট-সম্পর্কিত দক্ষতার বিকাশের উপর জোর দেওয়া উচিত। দেশটিতে ইন্টারনেটের গতি বাড়ানোর জন্য কম্বোডিয়া উন্নত প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

২০১৮ সালে হুয়াওয়ের আয় প্রথমবারের মতো ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে যা আগের বছরের চেয়ে ১৯.৫% বেশি এবং আরএন্ডডি-তে বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে মোট বার্ষিক রাজস্বের ১৪.১%। গবেষণা ও উন্নয়নে ক্রমাগত বিনিয়োগের ফলেই পণ্য ও সল্যুশনের ক্ষেত্রে হুয়াওয়ে পুনরায় শীর্ষস্থান নিশ্চিত করতে পেরেছে। বিশেষ করে ফাইভজি’র ক্ষেত্রে হুয়াওয়ে বিশ্বব্যাপী ৪০টি বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এবং ইতোমধ্যে ৭০ হাজার বেইজ স্টেশন হস্তান্তর করেছে। প্রযুক্তিগত পরিপক্কতায় কোম্পানিটি ইন্ডাস্ট্রিতে অন্যান্যদের চেয়ে অন্তত ১২ থেকে ১৮ মাস এগিয়ে।

হুয়াওয়ে বিশ্বাস করে, ২০১৯ সালে কম্বোডিয়া ফাইভজি বিকাশের প্রথম বছর হবে। হুয়াওয়ে কম্বোডিয়াতে সর্বাধুনিক ফাইভজি প্রযুক্তি ও পণ্য আনতে, বিশ্বমানের ফাইভজি’র ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা দিতে, কম্বোডিয়ার ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নত করতে, ডিজিটাল কম্বোডিয়া নির্মাণে এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত করতে সর্বাত্মক সহায়তা দিতে আগ্রহী।

প্রধানমন্ত্রী হুন সেন বলেন, “হুয়াওয়ে ইতোমধ্যেই আমাদের পুরানো বন্ধু এবং আমি আজ হুয়াওয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে সাক্ষাত করতে পেরে ও ফাইভজি সহযোগিতার জন্য হুয়াওয়ে কম্বোডিয়া ও টেলিকম কম্বোডিয়ার মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের সাক্ষী হতে পেরে আনন্দিত। অদূর ভবিষ্যতে কম্বোডিয়া যেন ফাইভজি চালু ও ব্যবহার করা এশীয় দেশগুলোর মধ্যে অগ্রগামী হতে পারে, সে ব্যাপারে আমি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী।”

Exit mobile version