বাংলাদেশে আসছে পি ৩০ প্রো। ফ্ল্যাগশিপ ফোনটরি দাম হবে লাখ খানেকেরে কাছাকাছি। স্মার্টফোন ক্যামেরায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সুবিধা ও নান্দনিক ডিজাইন নিয়ে ফ্রান্সের প্যারিসে উন্মোচিত হয় হুয়াওয়ের পি ৩০ ও পি ৩০ প্রো। পি ৩০ সিরিজের এ ফোনগুলোতে থাকছে হুয়াওয়ের দারুণ কিছু উদ্ভাবনী ফিচার। যার মধ্যে রয়েছে- হুয়াওয়ের সুপারস্পেকট্রাম সেন্সর, অপটিক্যাল সুপারজ্যুম লেন্স, হুয়াওয়ের টাইম অব ফ্লাইট ক্যামেরা, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন প্রযুক্তি।
এসব বৈপ্লবিক প্রযুক্তির কারণে হুয়াওয়ের পি ৩০ সিরিজের ফোনগুলো দিয়ে প্রত্যেকটি দৃশ্যের অতুলনীয় ছবি ও ভিডিও পাওয়া যাবে। হুয়াওয়ে কনজ্যুমার বিজনেস গ্রুপের সিইও রিচার্ড ইউ বলেন, “ডিজিটাল ক্যামেরা টেকনোলজির কয়েক দশকের উন্নয়নের পর হুয়াওয়ের পি ৩০ সিরিজ অপরিহার্যভাবে অনেক বড় সফলতা। এ সিরিজের ফোনগুলো মোবাইল ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে সবার ধারণা পাল্টে দেবে এবং এক্ষেত্রে অভিনবত্ব আনবে। হুয়াওয়ের দারুণ কিছু উদ্ভাবন যেমন; সুপারস্পেকট্রাম সেন্সর এবং সুপারজুম লেন্স ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফির ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের যে অনৈক্য রয়েছে এগুলোকে একসূত্রে নিয়ে আসবে। পি ৩০ সিরিজ দিয়ে পরবর্তী প্রজন্মরা সত্যিকার সৌন্দর্য ক্যামেরায় ধারন করতে পারবেন।” ফটোগ্রাফিতে ও ভিডিওগ্রাফিতে অভিনবত্ব, সবসময় দুর্দান্ত ছবি স্মার্টফোন ফটোগ্রাফিতে গ্রাহকদের যে ধারণা ও প্রত্যাশা সেটা বদলে দেবে হুয়াওয়ের পি ৩০ সিরিজ। মোবাইল ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে র্যাংকিং প্রকাশ করা ডিএক্সওমার্ক এর র্যাংকিংয়ে ইতোমধ্যে পি ৩০ প্রো সবার শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে। এ সিরিজের ফোনে থাকছে একটি নতুন লেইকা কোয়াড ক্যামেরা সিস্টেম। হুয়াওয়ের সুপার-স্পেকট্রাম সেন্সরসহ থাকছে ৪০ মেগাপিক্সেলের প্রধান ক্যামেরা, একটি ২০ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা-ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা, একটি ৮ মেগাপিক্সেলের টেলিফটো ক্যামেরা, হুয়াওয়ের টাইম অব ফ্লাইট ক্যামেরা, অনন্য সেলফির জন্য ৩২ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা। হুয়াওয়ের ১/১.৭ ইঞ্চির সুপার-স্পেকট্রাম সেন্সর নতুন পথ দেখাবে। পি ৩০ প্রো এর ক্ষেত্রে আইএসও এর সর্বোচ্চ রেটিং থাকছে ৪০৯,৬০০ এবং পি ৩০ এর ক্ষেত্রে থাকছে ২০৪,৮০০। সেন্সর টেকনোলজিতে এ ধরণের পরিবর্তন এবং এআইএস, ওআইএস ও ১.৬ এফ এর ওয়াইড অ্যাপারচারের কারণে অসাধারণ স্থিরচিত্র ও ভিডিওচিত্র পাওয়া যাবে। এমনকি খুব কম আলোতেও তোলা স্থিরচিত্রগুলোতে কালারসহ স্পষ্ট ডিটেইলগুলো পাওয়া যাবে। নতুন পেরিস্কোপ ডিজাইন এবং সুপারজুম লেন্স এর সাহায্যে ৫ গুণ অপটিক্যাল জুম, ১০ গুণ হাইব্রিড জুম, ৫০ গুণ ডিজিটাল জুম পওয়া যাবে। স্থিরচিত্রের যথার্থ সেগমেন্টেশন ও সঠিক ডেপথ অব ফিল্ড এর জন্য সহায়তা করবে হুয়াওয়ের টিওএফ প্রযুক্তি। সুপার পোট্রেইট এর সাহায্যে খুব ক্ষুদ্র বিষয়গুলোও ক্যামেরায় ধারণ করা যাবে। যে কোন দৃশ্যে সাবজেক্টকে হাইলাইট ও ব্যাকগ্রাউন্ড ডিফোকাসড করে অসাধারণ স্থিরচিত্র পাওয়া যাবে। স্টুডিও-গ্রেড ভিডিওগ্রাফির ক্ষেত্রে নতুন যুগের উন্মোচন করবে হুয়াওয়ের পি ৩০ সিরিজ। এর সুপার-স্পেকট্রাম সেন্সরের জন্য খুব কম আলোতেও ভালো দৃশ্য পাওয়া যাবে। এআইএস ও ওআইএস এর স্টাবিলাইজেশনের জন্য যথার্থ ও কাক্সিখত ভিডিও ধারণ করা যাবে। ব্রেথিং ক্রিস্টাল, আম্বার সানরাইজ, অরোরা, পার্ল হোয়াইট ও ব্ল্যাক কালারের সমারোহে পাওয়া যাবে ৬.৪৭ ইঞ্চির হুয়াওয়ের পি ৩০ প্রো এবং ৬.১ ইঞ্চির পি ৩০। ফুল এইচডি ডিউড্রপ ডিসপ্লেতে থাকবে খুবই ক্ষুদ্র একটি নচ। যার কারণে ডিসপ্লেতে বিস্তৃত জায়গা থাকবে। দ্রুত ও নিরাপদভাবে আইডেনটিটি শনাক্তে এতে ব্যবহার করা হয়েছে ইন-স্ক্রিন ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। হুয়াওয়ের পি ৩০ প্রো ও পি ৩০ এর বিভিন্ন ভার্সনের স্মার্টফোন ইউরোপের বাজারে খুব শীঘ্রই পাওয়া যাবে। বিভিন্ন ভার্সনের স্মার্টফোনগুলো ৯৯৯ ইউরো থেকে ১,২৪৯ ইউরোর মধ্যে পাওয়া যাবে।