ফিচার

হেলিও জি৯৯: মাল্টিটাস্কিংয়ের অভিজ্ঞতা উন্নত করেছে

By Sajia Afrin

March 20, 2023

কখনো কল্পনা করেছেন, অনেকগুলো অ্যাপ একসাথে চালালেও আপনার ফোন হ্যাং করবে না, ফোনের ক্ষতি হবে না; বরং, ফোনের সিপিইউ, জিপিইউ আর মেমোরির কার্যক্ষমতা আরও বাড়াবে? ব্যস্ত সময় কাটানো মাল্টিটাস্কারদের জন্য এটা অনেকটা স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতোই ব্যাপার!

মাল্টিটাস্কারদের অভিজ্ঞতাকে বদলে দিতে সম্প্রতি বাজারে এসেছে মিডিয়াটেক হেলিও জি৯৯ প্রসেসর। অসাধারণ গ্রাফিকস অভিজ্ঞতার সাথে এই প্রসেসরে পাওয়া যাচ্ছে দ্রুত ডেটা প্রসেসিং সুবিধা।

পাশাপাশি গেমস, অ্যাপস ও নিয়মিত কাজের ক্ষেত্রে এই প্রসেসরে পাওয়া যাবে উন্নত পারফরম্যান্স।

মিডিয়াটেক হেলিও জি৯৯ প্রসেসর ব্যবহার করা ফোনের টাচস্ক্রিনও কাজ করে অনেক দ্রুত, যদিও এতে বাড়তি ব্যাটারি খরচ হয় না।

মিডিয়াটেক জি৯৯ প্রসেসর তৈরি করা হয়েছে তাইওয়ানের কোম্পানি, টিএসএমসির ৬ ন্যানোমিটার-ক্লাস চিপ উৎপাদন প্রক্রিয়াতে। এই মানের চিপ ব্যবহারের ফলে ফোনের ব্যাটারি লাইফ বৃদ্ধি পায়।

এই প্রসেসেরের ইন্টেলিজেন্ট রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট ইঞ্জিন সিপিইউ, জিপিইউ ও মেমোরির পারফরম্যান্স বৃদ্ধি করে, যার ফলে মাল্টিটাস্কিং হয় আরও সহজ। এছাড়া এর নেটওয়ার্কিং ইঞ্জিনের মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন ওয়াই-ফাই ও ফোরজি সংযোগ নিশ্চিত হয়। 

হেলিও জি৯৯ প্রসেসরযুক্ত স্মার্টফোন, ওয়াইড অ্যাঙ্গেলে চমৎকার ছবি তুলতে পারে। স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের সব চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি, এই চিপ ডিভাইসকেও রাখে সুরক্ষিত।

তবে ফোনের অন্যান্য অংশগুলোর যথাযথ সম্মিলন, এই প্রসেসরের জন্য আশীর্বাদ হতে পারে। ভালো পারফরম্যান্সের জন্য বাজারে বর্তমানে যে ফোনটিতে সবকিছু যথাযথভাবে যুক্ত করা হয়েছে, সেটি হলো ইনফিনিক্স নোট ১২ প্রো।

বাজেটে সেরা ইনফিনিক্স নোট ১২ প্রো ব্যস্ত জীবনের দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারের উপযুক্ত।

হেলিও জি৯৯ প্রসেসর ব্যবহার করা এই ফোনে আছে ২৫৬ জিবি রম, ৮জিবি র‍্যাম, ১০৮ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা ক্লিয়ার ট্রিপল ক্যামেরা এবং ৬.৭” ফুল এইচডি+ ট্রু-কালার অ্যামোলেড ডিসপ্লে। এর ৮ জিবি র‍্যামকে মেমোরি ফিউশনের মাধ্যমে ১৩ জিবি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যায়, আর এর ২৫৬ জিবি রমকে বাড়ানো যায় ২ টেরাবাইট পর্যন্ত। এতসব সুবিধার কারণে ফোনের ল্যাগ ও ব্যাটারি ড্রেইনেজ কমে যায়। ফলে নোট ১২ প্রো মাল্টিটাস্কিংয়ের জন্য খুবই উপযুক্ত।      

মেমোরি ফিউশনের কারণে ফোন ল্যাগের হার ৬১ শতাংশ কমে গিয়ে অ্যাপ চালু হতে মাত্র ৮০২-৩০৭ মিলি সেকেন্ড সময় নেয়।

হেলিও জি৯৯ প্রসেসরের ফলে ১০৮ মেগাপিক্সেল সিনেম্যাটিক ট্রিপল ক্যামেরা ও ১৬ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা দিয়ে ছবিও তোলা যায় নির্ঝঞ্ঝাট। দু’টি ক্যামেরাতেই আছে আল্ট্রা-লার্জ সেন্সিং এরিয়া।

এই ফিচারের সাহায্যে ক্রমাগত, সব ধরনের আলোতে দারুণ ছবি তোলা যায়। ৫০০০ এমএএইচ এবং ৩৩ ওয়াট সুপারচার্জ সুবিধার ফলে নোট ১২ প্রোতে দ্রুত চার্জিং এবং বেশি সময় ধরে ফোন ব্যবহার করার নিশ্চয়তা পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে নোট ১২ প্রো, উন্নত পারফরম্যান্সের জন্য এক দুর্দান্ত প্যাকেজ। 

উন্নত পারফরম্যান্সের জন্য এই দুর্দান্ত প্যাকেজটি পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ২৬,৪৯৯ টাকায়।   

ইনফিনিক্স:   

ইনফিনিক্স মোবিলিটি একটি উদীয়মান প্রযুক্তি ব্র্যান্ড। ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ইনফিনিক্স ব্র্যান্ডের আওতায় বিশ্বজুড়ে অনেক ধরনের ডিভাইস ডিজাইন, প্রস্তুত ও বাজারজাত করে থাকে কোম্পানিটি।

আজকের তরুণদের জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মোবাইল ডিভাইস প্রস্তুত করা তাদের মূল লক্ষ্য। এই ফোনগুলোর মূল বৈশিষ্ট্য চমৎকার স্টাইল, পাওয়ার ও পারফরম্যান্স।

ইনফিনিক্সের ট্রেন্ডি ডিভাইসগুলো ব্যবহারকারীর প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়। 

“ভবিষ্যৎ আমাদের হাতের মুঠোয় (দ্য ফিউচার ইজ নাও)” মূলমন্ত্র নিয়ে ইনফিনিক্স আজকের তরুণদের স্বকীয়তা তুলে ধরার জন্য অনুপ্রাণিত করতে চায়।

আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার ৪০টির বেশি দেশে এই কোম্পানির পণ্য বিক্রি করা হয়।

বিস্ময়কর গতিতে বিস্তার ঘটছে ইনফিনিক্সের। ২০১৯-২০২১ সালে কোম্পানিটির অভূতপূর্ব ১৫৭% প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। চমকপ্রদ ডিজাইন ও দারুণ মানের ফ্ল্যাগশিপ-লেভেল ডিভাইস প্রস্তুত করা চালিয়ে যাওয়ার বড় পরিকল্পনাও তাদের রয়েছে।