বিশ্বে প্রযুক্তি ব্যবহার করে কতকিছু হচ্ছে!ড্রোন দিয়ে অনেক কাজই করা হয়। তবে এজন্য প্রয়োজন হয় অনুমতির ,সম্প্রতি মার্কিন ১০ শহরে বাণিজ্যিক ড্রোন ওড়ানোর অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। চালকবিহীন আকাশযান বা ড্রোন ব্যবহার করে জরুরি ও ছোটখাট পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা বেশ সম্ভাবনাময়। আর এ কাজটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শুরু করার জন্য বহুদিন ধরে বেশ কিছু বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান অনুমোদন চাইছিল। এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) বাণিজ্যিকভাবে ড্রোন ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১০টি শহরে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অনুমোদিত শহরগুলো হলো স্যান ডিয়াগো (ক্যালিফোর্নিয়া), রেনো (নেভাদা), বিসমার্ক (নর্থ ডাকোটা), মেমফিস (টেনেসি), ডুরেন্ট (ওকলাহোমা), হের্নডন (ভার্জিনিয়া), টোপেকা (কানসাস), র্যালে (নর্থ ক্যারোলিনা), ফোর্ট মায়ার্স (ফ্লোরিডা) ও ফেয়ারব্যাংকস (আলাস্কা)। বাণিজ্যিকভাবে ড্রোন ব্যবহারের অনুমোদনের জন্য ১৪৯টি প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাবনা জমা পড়লেও মাত্র ১০টি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে এফএএ। অ্যামাজন বাণিজ্যিকভাবে ড্রোন ব্যবহারের অনুমোদন চাইলেও তাদের নিরাশ করেছে এফএএ। অ্যামাজনের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরোধ এক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করছেন অনেক বিশ্লেষক।
প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুমোদন দেওয়া হলেও বেশ কিছু কঠোর শর্ত দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দিনের বেলা নয়, বরং রাতে তারা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে। নিজেদের সক্ষমতার বিষয়ে এফএএ’র আস্থা অর্জন করতে হবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে। বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত ড্রোন ব্যবস্থাপনা নিরাপদ রাখতে ইতোমধ্যে এসব প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথভাবে কাজ করছে এফএএ। কয়েক লাখ ড্রোন এবং ৯০ হাজার পাইলট এফএএ’র সাথে রেজিস্ট্রেশন করেছে। এফএএ’র সবুজ সংকেত পাওয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাপল’। মাইক্রোসফট, উবার এবং ইন্টেলেরও যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে এই প্রজেক্টে। ফ্লোরিডার একটি সরকারি সংস্থা মশার প্রজনন রোধে ড্রোন ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে। সিএনএনের সাথে যৌথভাবে বাণিজ্যিকভাবে ড্রোন ব্যবহার করার অনুমোদন পেয়েছে ওকলোহমার ‘দি চকটাও ন্যাশন’। খাবার সরবরাহের অনুমোদন পেয়েছে ফ্লাইটরেক্স। নিরাপত্তা এবং অবকাঠামো খাতের কাজ করতে মেমফিস কাউন্টি এয়ারপোর্ট অথরিটির সাথে যৌথভাবে কাজ করবে ফেডেক্স। চিকিৎসা সরঞ্জামাদি সরবরাহে অনুমোদন পেয়েছে ফ্লিরটে। অনুমোদন পাওয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে রুয়ান্ডাতে বাণিজ্যিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ‘জিপলাইন’। তারা রুয়ান্ডাতে ড্রোনের মাধ্যমে রক্ত সরবরাহ করে যথেষ্ট সুনাম কুড়িয়েছে।