সুপার ব্লু ব্লাড মুন-ফেসবুকেিএটি নিয়ে এখন আলোচনা চলছে। এটিকে ভেঙে বললে বুঝতে সহজ হবে। ‘সুপার’, ‘ব্লু’, ‘ব্লাড’। পৃথিবীর কক্ষপথের খুব কাছাকাছি যখন চাঁদ চলে আসে তখন এটিকে স্বাভাবিকের চেয়ে বড় দেখায়। তাই ওই চাঁদকে বলে সুপার মুন। ৩১ জানুয়ারি যে সুপারমুন দেখা যাবে সেটি স্বাভাবিক সময়ে চাঁদের চেয়ে ১৪ গুণ বেশি উজ্জ্বল হবে বলে জানিয়েছে নাসা। আর সুপারমুনের সঙ্গে ব্লু (নীল) শব্দটি জুড়ে দেয়া হয়েছে কারণ একই মাসে দুই বার সুপারমুন দেখা গেলে দ্বিতীয়টিকে ব্লু সুপারমুন বলা হয়। ২০১৮ সালের প্রথম দিনই প্রথম সুপারমুন দেখা গেছে। সেটিকে বছরের ‘সবচেয়ে বড় ও উজ্জ্বল’ বলে আখ্যা দিয়েছিল নাসা। মাসের শেষেও আরেকবার সুপারমুন দেখার সুযোগ মিলছে। প্রথমটির চেয়ে এটি আরও বেশি উজ্জ্বল। ব্লাড (রক্ত রঙের) শব্দটির কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। ৩১ জানুয়ারির চাঁদকে দেখতে লালচে ও তামাটে মনে হবে। তাই সুপার ব্লু মুনের সঙ্গে ব্লাড শব্দটি যুক্ত করে দেয়া হয়েছে।১৮৬৬ সালের ৩১ মার্চ শেষ বার দেখা গিয়েছিল এ চাঁদ।
নতুন বছরে প্রথম মাসের শেষ রাতে আজ দেখা মিলবে এক অসাধারণ মুহূর্তের। সন্ধ্যা ৬টা ৫১ মিনিটের দিকে পৃথিবীর ছায়া চাঁদকে সম্পূর্ণভাবে গ্রাস করবে। এ সময় সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদ একটি রেখায় খুব কাছাকাছি অবস্থান করবে। চাঁদকে দেখা যাবে রক্তাভ নীল রঙে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এই চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে বিকেল ৫টা ৩৮ মিনিটে। আর পৃথিবীর ছায়া পুরোপুরি চাঁদকে গ্রাস করবে ৬টা ৫১ মিনিটে। চন্দ্রগ্রহণ শেষ হবে রাত ১০টা ৯ মিনিটে।
বিভিন্ন কারণে এই চন্দ্রগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ ও বিরল একটি মুহূর্ত হতে যাচ্ছে। প্রথমত, চাঁদ এই দিনে ‘সুপার মুন’ হিসেবে দেখা দেবে। অর্থাৎ দুই মাসের ব্যবধানে আগামী ৩১ মার্চ একই রকম চন্দ্রগ্রহণের দেখা মিলবে। দ্বিতীয়ত, এটি বছরের প্রথম ‘ব্লু মুন’ বা বছরের অতিরিক্ত পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ। তৃতীয়ত, এই গ্রহণের সময় চাঁদের রং তামাটে বা অতিরিক্ত লাল হবে বলে এটি ‘কপার মুন’।