যেদিন সার্চ ইংলিশের মেম্বার হয়েছিলেন সেদিন কেমন অনুভূতি ছিল আর ১০ লাখ মানুষের মধ্যে একজন হতে পেরে কেমন লাগছে। স্বভাবতই ইতিবাচক উত্তর দেবেন। কিন্তু সবার অনুভূতি কি এক? গত বছরে সার্চ ইংলিশ গ্রুপের এক সদস্যর সঙ্গে কথা হচ্ছিল-তাঁকে গ্রুপটি নিয়ে খুব বেশি উৎসাহী মনে হয়নি। কিন্তু বছর পেরোতেই তাঁর মধ্যে আশ্চর্য় পরিবর্তন দেখা গেল। যতই ১০ লাখ সদস্যের কাছাকাছি আসতে দেখা গেল ওই গ্রুপের সদস্য হিসেবে গর্ব করতে দেখা গেল তাঁকে। ভয়ে যে ফেসবুকে ইংরেজিতে বাংলা লেখা ছাড়া স্ট্যাটাস দেয়নি ওই গ্রুপে চর্চা করে এখন নিদ্বিধায় ইংরেজি স্ট্যাটাস লেখে। সার্চ ইংলিশে এক মিলিয়ন বা ১০ লাখ মেম্বারের একজন হিসেবে তাঁর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাহস আর আত্মবিশ্বাস বেড়েছে গ্রুপ থেকে। এ ছাড়া কিছু চর্চা হয়েছে। অ্যাকটিভ গ্রুপটি থেকেে সবচেয়ে লাভ পাওয়া গেছে। এদিকে, একই দিনে গতকাল রোববার ৫০ হাজার মেম্বারের মাইলফলক পেরোয় ডিজিটাল স্কিলস ফর বাংলাদেশ গ্রুপটি। এ গ্রুপটির কয়েকজন সক্রিয় সদস্য তো খুবই খুশি। বাংলাদেশে আইটি ক্ষেত্রে সবচেয়ে সক্রিয় ও কার্যকর পোস্টের গ্রুপ এটি। গ্রুপ দুটি পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত আছেন ই-ক্যাবের সাবেক সভাপতি রাজীব আহমেদ। তিনি গতকাল রোববার জানান, গতকাল ই-ক্যাব প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়ার তিন মাস পুর্ণ হল। তিন মাসে সব দিক থেকেই অনেক এগিয়েছি বলা যায়। সবচেয়ে বড় শান্তির ব্যপার হল প্রতিদিনের ভেজাল নেই আর এখন ইচ্ছা মত ঘুমাতে পারি। ৩ মাস নিজের কাজে সময় দেয়াতে সার্চ ইংলিশ অনেক এগিয়েছে। ৩ মাসে ৪ লক্ষ নতুন মেম্বার যোগ দিয়েছে। আর ডিজিটাল স্কিলস গ্রুপে ৭৬ দিনে ৫০,০০০ লোক এসেছে। ই-ক্যাবের প্রেসিডেন্ট থাকবো না এক বছর আগেই ঘোষণা দিয়েছিলাম। আর ইসি কমিটিতেও থাকার ইচ্ছা ছিল না কিন্তু আমি না থাকলে স্থিতিশীলতা নষ্ট হবার আশংকা ছিল বলে থাকতে হয়েছে। নিজের জীবনটা গুছাতে হয়তো এই বছরটা চলে যাবে। আগামি জানুয়ারি থেকে ভাল কিছু করার আশা রাখি। রাজীব ভাইয়ের পরিশ্রমে গড়ে ওঠা গ্রুপ দুটির মেম্বার হয়ে আপনাদের প্রতিক্রিয়া কী?